• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ভূমিকম্পে সন্তান রেখে বাবা পালালেও পালাননি হেফজখানার শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ১৪:২৮, ২২ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৫:০২, ২২ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ

ভূমিকম্প দেখে সন্তানকে রেখে বাবা পালালেও, ছাত্রদের রেখে পালাননি হেফজখানার শিক্ষক। বরং নিজে ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করে গেছেন একজন হাফেজ।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পের সময় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রাবা আইডিয়াল ক্রিয়েটিভ মাদরাসায় ঘটেছে এই ঘটনা। মাদ্রাসাটির হেফজ শাখার সিসিটিভি ক্যামেরায়  শিক্ষকের এই দায়ীত্বশীলতার চিত্র ফুটে ওঠে।

ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির হিফজ শাখার সহকারী শিক্ষক হাফেজ মাও. শফিকুল ইসলাম দরজার কাছেই একটি বিছানায় শুয়ে মোবাইলে কিছু করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে রুম থেকে বের না হয়ে উল্টো ছাত্রদের বিছানার দিকে ছুটে যান তিনি। দুই ছাত্রকে দুই খাট থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। 

শিক্ষককে দেখে দৌঁড়ে আসে আরো ২ জন শিক্ষার্থী। বিছানা থেকে একটি কোলবালিশ নিয়ে ছাত্রদের মাথা নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে। তারপর ঝাকুনি কমে গেলে ছাত্রদের নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান হাফেজ শফিকুল ইসলাম।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশসংসায় ভাসছেন ওই শিক্ষক। এই ভিডিওটি প্রকাশ করে অনেকে ভূমিকম্প দেখে সুপার শপে সন্তানকে ফেলে বাবার দৌঁড় দেওয়ার সেই ভিডিওর সঙ্গে তুলনা করছেন। বলছেন, নিজের জীবনের ঝুঁকির মধ্যেও ছাত্রদের প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষকের এই মহানুভবতার চিত্র দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এ বিষয়ে রাবা আইডিয়াল ক্রিয়েটিভ মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (হিফজ) হাফেজ মাও. শফিকুল ইসলাম বাংলাভিশনকে বলেন, হিফজ বিভাগে যেহেতু বাচ্চারা শিক্ষকদের কাছে থাকে তাই তাদের যত্ন নেওয়া, আদর করা শিক্ষকদের দায়ীত্বের মধ্যে পড়ে। এজন্য আমি তদের আগলে রেখেছি এবং তাদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দিতে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। 

এই শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের কাছে আমানত। তাই আমানতের যথাযথ সংরক্ষণ করতেই নিজে ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তিনি।

বিভি/কেএস/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2