এ বছর টানা ৩দিন বা ৪দিন ছুটির তালিকা দেখে নিন

নতুন বছরের আগমন মানেই, নতুন ক্যালেন্ডার নিয়ে কাঁটাছেঁড়া করা। ২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার নিয়ে গবেষণায় সবচেয়ে বেশি খোঁজা হচ্ছে টানা তিনদিন ছুটির তালিকা। সপ্তাহে শুক্র-শনি এমনিতেই সরকারি ছুটি। এর আগে বা পরে ছুটি পড়লেই বেড়ে যায় টানা ছুটি। কখনো হয় টানা তিন দিন কখনোবা টানা চারদিন। চলুন দেখে নেওয়া যাক এ বছরে টানা ছুটির দিনগুলো...
বছরের প্রথম বড় ছুটি শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজার ছুটি দিয়ে। ২৬ জানুয়ারি সরকারি ছুটি। ওইদিন আবার বৃহস্পতিবার। পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে হচ্ছে তিন দিন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব মাঘী পূর্ণিমা উদযাপিত হবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। দিনটি রবিবার স্বাভাবিকভাবেই সরকারি ছুটি। আগের দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে তিন দিনে। যদিও চান্দ্র তিথির ওপর ভিত্তি করে ছুটির দিনক্ষণে পরিবর্তন আসতে পারে।
পবিত্র শব-ই-মেরাজ উপলক্ষে ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি রয়েছে। দিনটি রবিবার বলে এবং এর আগের দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে তিন দিনে। যদিও চাঁদ ওঠার ওপর ভিত্তি করে ছুটির দিনক্ষণে পরিবর্তন আসতে পারে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব দিবসের ছুটি ১৯ মার্চ। আগের দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে তিন দিনে।
এ বছরের মহান স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) পড়েছে রবিবারে। এর আগের দুদিন শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় মোট ছুটি থাকছে তিন দিন। বছরের তৃতীয় মাসেই উপভোগ করা যাবে দারুণ ছুটি।
৬ এপ্রিল থাকবে পুণ্য বৃহস্পতিবারের ছুটি। পরবর্তী দুই দিন (৭-৮ এপ্রিল) অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর ৯ এপ্রিল আবার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডের ছুটি। সব মিলিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা মোট চার দিন ছুটি পাবেন।
এ বছরের চৈত্রসংক্রান্তির ছুটি ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে দাঁড়াবে তিন দিনে।
এ বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ২২ এপ্রিল। দিনটি শনিবার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সরকারি ছুটি থাকবে। পাশাপাশি ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশের কারণে সরকারি ছুটি দাঁড়াবে তিন দিনে। যদিও আরবি বর্ষের শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে ছুটির দিনে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে।
আগামী ৪ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হবে। সরকারির ছুটির এই দিনটি পড়েছে বৃহস্পতিবার। পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে হচ্ছে তিন দিন।
পবিত্র ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ২৯ জুন। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও নির্বাহী আদেশের কারণে সরকারি ছুটি দাঁড়াবে তিন দিনে।
২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবীর সম্ভাব্য তারিখ। এ দিনও পড়েছে বৃহস্পতিবার। পরবর্তী দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সব মিলিয়ে ছুটি দাঁড়াচ্ছে তিন দিনে। যদিও আরবি বর্ষের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ ওঠার ওপর ভিত্তি করে ছুটির দিনক্ষণে পরিবর্তন আসতে পারে।
বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব মধু পূর্ণিমার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে দাঁড়াবে তিন দিনে। চাঁদ দেখতে পাওয়া-না পাওয়া সাপেক্ষে ছুটির দিনক্ষণে পরিবর্তন আসতে পারে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ছুটি ২২ ও ২৩ অক্টোবর, রবি ও সোমবার। আগের দুই দিন (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সুতরাং মোট ছুটি হবে চারদিন।
শ্যামা পূজার ছুটি ১২ নভেম্বর রবিবার। আগের দুই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেটি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে তিন দিনে।
বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিনের আগে-পরের দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি। বড়দিনের আগের দিন, অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার। এর আগের দুই দিন শুক্রবার এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার) ছুটি পেতে পারেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: