আগুন রাঙা পলাশ প্রাঙ্গণে নারীর বিচরণ
জয়নাল আবেদীন
প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ১০ মার্চ ২০২৩

প্রকৃতি আর নারী যেন সুন্দরের প্রতীক
‘পলাশ ফুলের মৌ পিয়ে ওই,
বউ-কথা-কও উঠল ডেকে,
শিস দিয়ে যায় উদাস হাওয়া,
নেবু ফুলের আতর মেখে’
কাজী নজরুল ইসলামের এ চার লাইনে পলাশের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। আবার অনেক কবি পলাশের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে পলাশকে রোমান্টিক ফুল নামেও আখ্যায়িত করেছেন।কৃষ্ণচূড়া রঙের মতো দেখতে এই ফুল সাইজে কিছুটা বড় হয়।
বসন্তের শুরুতে যখন এ ফুল ফোটে, প্রকৃতিতে মনে হয় সবুজ বনে আগুন লেগেছে। পলাশের সৌন্দর্যে প্রকৃতি তখন সাজে নতুন রূপে। আর প্রকৃতির সাথে সাথে মেয়েরাও তখন সাজে সুন্দর করে। নারী আর ফুল যেন একে অপরের পরিপূরক।
তাই তো দল বেঁধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নারীরা শাড়ির বেশে আকুল আবেদন জানাচ্ছে বসন্তের আগুনঝরা পলাশের সুভাস। ক্যামেরায় বন্দী করে নিচ্ছে পলাশের পরশের সাথে তাদের সুন্দর ও সুখকর মুহুর্তগুলো।
তারই জন্যে, তারা রঙ বেরঙের শাড়ি পরে পলাশ ফুল হাতে নিয়ে এবং পলাশ ফুলের মালা বানিয়ে মাথায়, হাতে দিয়ে ছবি তুলে। কি প্রাণবন্ত সেসব ছবি। এসব ছবি দেখেই প্রকৃতির মায়ায় পড়ে যাওয়া সম্ভব।
নারী আর ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক।সারা ক্যাম্পাসে সৌন্দার্যের জানান দিচ্ছে যেন এক অপরুপ সাজে। বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে আসা পলাশ অনেক মন খারাপের সমাধান। যতই মন খারাপ থাকুক না কেন, চোখের সামনে আগুনরাঙা পলাশ দেখলে সে মন ভালো হতে বাধ্য। তাই পলাশের গুরুত্ব অনেক বেশি। ছোট বড় সকলেই পলাশ ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ!
তবে দিনদিন পলাশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আগে যেরকম চারিদিকে তাকালেই আগুনরাঙা পলাশ দেখা যেত, বর্তমানে তেমন দেখা যায় না। তিন চারটের বেশি পলাশ গাছই পাওয়া যায় না। আবার অনেকেই ছবি তোলার জন্য গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে ফেলে। যার ফলে প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
কথায় আছে, ‘গাছের ফুল গাছেই সুন্দর’। কিছু সুন্দর দূর থেকেই উপভোগ করতে হয় । তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আবেগের বশে যেনো প্রকৃতিকে নষ্ট না করি । বসন্তের আগমনী যে সৌন্দর্য, তা যেনো অক্ষুণ্ণ থাকে।
লেখক: জয়নাল আবেদীন
শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: