এই পাখি পানির নিচে সাঁতারও দিতে পারে, ঘুরছে আপনার পাশেই

এই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- আকাশে ওড়ার পাশাপাশি পানিতে সাঁতারও দিতে পারে
আপনার জানালা বা বারান্দা বা কার্নিশে এসে বসেছে বা ঘোরাঘুরি করছে ছোট্ট ধূলর-খয়েরি রঙের কিছু পাখি। এ দৃশ্য নিশ্চয়ই আপনার খুব অচেনা নয়। এই পাখিগুলি, আমরা সবাই জানি, চড়ুই। ইংরেজিতে যাদের স্প্যারো বলা হয়।
আজ ২০ মার্চ দিনটি এই পাখিটির জন্য উৎসর্গীকৃত। আজ ওয়ার্ল্ড স্প্যারো ডে বা বিশ্ব চড়ুই দিবস। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও পাখিটি পাওয়া যায় নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে।
চড়ুই মেলে না চীন, জাপান, সাইবেরিয়া ও আফ্রিকার কিছু অংশে এবং দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে।
ওয়ার্ল্ড স্প্যারো ডে বা বিশ্ব চড়ুই দিবস প্রথম পালিত হয় ২০১০ সালে। পালন করে নেচার ফরএভার সোসাইটি। ছোট্ট এই পাখিটিকে রক্ষা করা এবং এর বিষয়ে সচেতনতার প্রচারের জন্যই এরকম একটি দিনের ভাবনা।
এই পাখিটি আকারে ছোট হলেও গুরুত্বে মোটেই ছোট নয়। খাদ্যশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এর ভূমিকার কোনও বিকল্প নেই। এমন কীট-পতঙ্গ এরা খায়, যা গাছ-পালার ক্ষতি করে। উল্টোদিকে এরা আবার বড় পাখি বা সাপের খাদ্য। ফলে প্রকৃতিতে একটা ভারসাম্য বজায় থাকে।
এই পাখিটি নিয়ে সচেতনতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। শহরে ইদানীং এই পাখিটর সংখ্যা কমছে বলে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলি। চড়ুই নিয়ে সচেতনতা ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন শহরে পাখিটির বিষয়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
চড়ুই পাখির আয়ুষ্কাল ১০ বছরের মতো। এরা ধুলো ঘাঁটতে খুব ভালোবাসে। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের হল, পানির নীচে সাঁতার দিতে পারে।
পাখিটি একটু মানুষঘেঁষা। সামাজিক বলা চলে। মানুষের ঘরের কাছেই বাসা বাঁধে এরা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: