কিছু খেলেই গলা-বুক জ্বলছে? ঘরোয়া টোটকাতেই মিলবে সমাধান

অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ বোধহয় খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। তার জেরে কিছু খেলেই বদহজম হয়ে যায়। আর মুখ টক হয়ে আসে। গলা-বুক-পেট জ্বালা করতে থাকে।
সাধারণত মশলাদার খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণেই এই অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকে কাজের চাপে খাবারটাই খেতে ভুলে যান, সেক্ষেত্রেও কিন্তু গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ কিংবা অ্যান্টাসিড খেয়ে থাকেন রোগীরা।
তবে কথায় কথায় মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাওয়াটাও কিন্তু কোনও সমাধান নয়! তাহলে উপায়? আসলে সেই উপায় লুকিয়ে রয়েছে আমাদের রান্নাঘরেই! যে বিষয়ে অনেকেই হয়তো ওয়াকিবহাল নন! আজ কথা বলা যাক সেই ঘরোয়া টোটকার প্রসঙ্গে।
ঘরোয়া টোটকার এই তালিকায় রয়েছে অ্যাভোকাডোও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যাসিডিটি বা অম্বল হলে অ্যাভোকাডোর সঙ্গে জ্যুস পান করা উচিত। জ্যুস পান না করতে চাইলে অ্যাভোকাডো ফল হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
দই আর মধুও পেটের প্রদাহ এবং অ্যাসিডিটি বা অম্বল কমাতে সহায়ক। সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক কাপ দইয়ের মধ্যে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এই উপাদান পেট ব্যথাও উপশম করে।
> বুক জ্বালাপোড়া উপশম করার জন্য কলা খাওয়া যেতে পারে। কারণ এর মধ্যে উপস্থিত উপাদান পেটের প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
> গলা-বুকে জ্বালাপোড়া হলে এক কাপ গরম পানিতে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। তাতে ব্ল্যাক সল্ট অথবা বিটলবণ দিতে হবে। এটা সমস্যা দূর করতে দারুন কার্যকর। ঈষদুষ্ণ পানিতে ২ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলেও সমস্যার উপশম হবে।
> বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস পানিতে ২ চা-চামচ জিরে দশ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এর পর ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে পান করতে হবে। প্রতিদিন সকালে এই পানি পান করলে পেটের প্রদাহ কমে যাবে।
> অম্বলের সমস্যা দূর করতে রাতে ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করা যেতে পারে।
> গলা-বুক জ্বালাপোড়া রোগীদের জন্য তুলসী পাতাও একটি দুর্দান্ত ওষুধ। তুলসী পাতা থেঁতো করে নিয়মিত সেবন করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
> প্রতিদিন বিকালে এবং সন্ধ্যাবেলায় খাবার খাওয়ার আগে কয়েকটি মৌরি ভাল করে চিবিয়ে খেতে হবে। এটি পেটের প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। সূত্র: নিউজ এইটিন
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: