• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত হলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব

দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হচ্ছে

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ৯ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হচ্ছে

প্রতীকী ছবি

দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হচ্ছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত হলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। 

দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন। এতে জানানো হয়, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের কারণে আশংকাজনকভাবে বাড়ছে কিডনি রোগীর সংখ্যা । 
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. হাদীউজ্জামান। কিডনি দিবস উপলক্ষে ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। 

প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব জুড়ে মানুষের মধ্যে কিডনির স্বাস্থ্য, কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। 

বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৯৫ মিলিয়ন মহিলা নানা কারণে কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি সংক্রান্ত রোগ মৃত্যুর কারণ হিসাবে ছয় নম্বর স্থানে রয়েছে।
কিডনি সংক্রান্ত তীব্র রোগের কারণে সারা পৃথিবী জুড়ে প্রতি বছর কমপক্ষে ১.৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়।  
কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিবন্ধকতা:

সারা বিশ্ব জুড়ে কিডনি রোগ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও, কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ে বৈষম্য এবং অবিচার এখনও বিদ্যমান। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রচুর অর্থ, অত্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল, অঙ্গ প্রদানকারীদের প্রাপ্যতা এবং সঙ্গে সঙ্গে ডায়ালিসিস শুরু করার জন্য উন্নত পরিকাঠামো প্রয়োজন হয়। শারীরিক ও আইনি পরিকাঠামো প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি অঙ্গদানের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক অপপ্রচারের ফলে অনেক দেশে ডায়ালিসিসকে বাধ্যতামূলক বিকল্প হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে।

চিকিৎসকারা জানান, কিডনির কর্মক্ষমতা কমতে কমতে যখন অকার্যকারিতার একটি বিশেষ স্তরে পৌঁছে যায় তখন তাকে ‘কিডনি-ব্যর্থতা’বা ‘কিডনি ফেলিওর’ বলা হয় এবং কিডনি ব্যর্থতার ফলে জীবন বিপন্ন হতে পারে; এবং ডায়ালিসিস বা একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য রোগের কারণে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে। প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং সঠিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগটিকে আরও খারাপের পর্যায়ে যাওয়ার আগে রক্ষা করতে পারে। দরিদ্রতা, লিঙ্গ বৈষম্য, শিক্ষার অভাব, কর্মহীনতা এবং দূষণের ফলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বা কিডনি সংক্রান্ত তীব্র রোগ হতে পারে।

কিডনি সুস্থ রাখতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার পারামর্শ দেন বিশেজ্ঞরা...

সুস্থ এবং সক্রিয় থাকুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
রক্তে শর্করার মাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং পরীক্ষা করান।
দিনেরবেলা যথাযথ পরিমানে জল পান করুন।
ধূমপান করবেন না।
নিয়মিত পেন কিলার জাতীয় ওষুধ খাবেন না।
যদি আপনার কিডনি সংক্রান্ত কোনও রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করান।

কিডনি রোগ হল নীরব ঘাতক। প্রারম্ভিক দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ কোন লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়াই দেখা দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সহজে যায় না।
কিডনি রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্ত ও মূত্র পরীক্ষার প্রয়োজন।
কিডনি রোগ নিরাময়যোগ্য। শুরুতেই ধরা পড়লে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব।
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ এবং উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
কিডনি রোগ থেকে কিডনির ব্যর্থতায় (কিডনি ফেলিওর) রূপান্তরিত হতে পারে।

মন্তব্য করুন: