• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

দ্রুতই বাজারে আসছে ওমিক্রন মোকাবিলার ভ্যাকসিন

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ৯ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
দ্রুতই বাজারে আসছে ওমিক্রন মোকাবিলার ভ্যাকসিন

আগামী অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে ওমিক্রন প্রতিরোধী ভ্যাকসিন। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিল জার্মানির বায়ো অ্যান্ড টেক। পার্টনার ফাইজার গত মাসের শেষের দিকেই চলতি বছরে ৩,২০০ কোটি মার্কিন ডলার করোনা ভ্যাকসিন বিক্রির পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) ফের সেকথা জানাল জার্মানির ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাটি।

গোটা বিশ্বে এখনও ভ্যাকসিনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৬০ কোটি ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলো এবং আমেরিকায় ইতিমধ্যে একেকজনকে ইতিমধ্যেই করোনার তিন থেকে চারটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েও গিয়েছে।

কিন্তু, সমস্যা দেখা দিয়েছে করোনা তার রূপ বদলানোয়। নতুন ভ্যারিয়েন্টের সমস্যায় ভুগছে গোটা বিশ্ব। এই অবস্থায় করোনার ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে রোধ করাই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। আর, তাই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে লক্ষ্য করে করোনা ভ্যাকসিন আপগ্রেড করার ওপর জোর দিচ্ছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো।

চিকিৎসকগণ মনে করছে, দুমাস পরই ভ্যাকসিনের চাহিদা আরও বাড়তে পারে। কারণ, ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ঢেউ আছড়ে পড়বে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে। সেই সতর্কতার মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও সম্প্রতি বেড়েছে। তাই সময়মতো যাতে ভ্যাকসিনের জোগান দেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে বায়ো অ্যান্ড টেক।

বেশিরভাগ জায়গায় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে যাওয়ায়, ভ্যাকসিন বিক্রি করে রোজগারও ইতিমধ্যে কিছুটা হলেও কমেছে। এটা সব ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রেই সত্যি। সমীক্ষায় প্রকাশ যে আয় প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর্থিক দিক থেকে পরিমাণটা ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। বায়ো অ্যান্ড টেকের ক্ষেত্রে গতবছর এই আয়ের পরিমাণটা ছিল ১,৯০০ কোটি ইউরো। সেটাই এখন কমতে কমতে ১,৩০০ কোটি ইউরোতে এসে ঠেকেছে।

তবে, শীঘ্রই পরিস্থিতি বদলাবে বলেই মনে করছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। এই ব্যাপারে বায়ো অ্যান্ড টেকের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জেনস হোলস্টেইন বলেন, ‘বর্তমান সময়ের বিচারে আমরা আশা করি যে শীঘ্রই আমাদের আর্থিক গতির অগ্রগতি ঘটবে।’

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: