চার স্তরের ভ্যাট-ট্যাক্সে যেভাবে বাড়ছে ইন্টারনেটের দাম

প্রথমে ডিজিটাল পরে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রচারণায় ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, আইসিটি উন্নয়ন সহ নানা খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয় আওয়ামী সরকার। এরই অংশ হিসাবে দেশে চালু করা হয় ফোরজি। জোড়েসোরে ফোরজির প্রচারণা থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্পিডে প্রায়ই ২জি দেখা মেলে। তথ্য বলছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সেবার দিকে বাংলাদেশ তলানিতে হলেও খরচে সবার উপর।
ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ দেশে প্রবেশের শুরু থেকে প্রান্তিক গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে কয়েকটি স্তর তৈরি করা হয় ওই টাকা নিজেদের পটেকে ভরতে। ফলে প্রতিটি স্তরে হাতবদলেই গুনতে হয় ভ্যাট ট্যাক্সসহ বাড়তি টাকা। আইআইজির কেনা গড়ে ১৮০ টাকার একএমবি ইন্টারনেটের দাম হাতবদলেই গ্রাহককে কিনতে হয় প্রায় ৩০০ টাকায়।
ইন্টারনেটের এই উচ্চমুল্যর সরাসরি প্রভাব পড়ে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ফ্রিল্যান্সিং সহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে, তৈরি করে ডিজিটাল বিভাজন।
জুলাই গণঅভ্যুথানে পট পরিবর্তনের পর প্রতিটি সেক্টরেই সংস্কার চলছে। ধারাবাহিকতায় আইআইজি, আইজিডব্লিউ কিংবা এনটিটিএনের মতো বিভিন্ন স্তরকে সংস্কারের পক্ষে মত খাত বিশ্লেষকদের। একই স্তরে একাধিক লাইসেন্স কমানোসহ প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরিতে জোড় তাদের।
স্পিডটেস্টের গ্লোবাল ইনডেক্স বলছে, মোবাইল ইন্টারনেট স্পিডে বিশ্বের ১১১ টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮ এবং ব্র্যাডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিডে ১৫৫ টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯। বরাবরই এসব তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে ।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: