গোপনে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, ১৪০ কোটি ডলার জরিমানা দেবে গুগল

বিশ্বখ্যাত জায়ান্ট প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল এবার বড় ধরনের আর্থিক জরিমানার মুখোমুখি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের করা একটি মামলায় গোপনে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দেবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন গুগলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তার অভিযোগ, গুগল ফটোস ও গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মুখের গঠন ও কণ্ঠস্বরের মতো সংবেদনশীল বায়োমেট্রিক তথ্য অনুমতি ছাড়াই সংগ্রহ করছিল। একই সঙ্গে, লোকেশন ফিচার বন্ধ করলেও গোপনে ব্যবহারকারীর অবস্থানগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এক বিবৃতিতে কেন প্যাক্সটন বলেন, “গুগল দীর্ঘদিন ধরে আমাদের রাজ্যের জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য, যাদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও পরিবার—তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে। টেক্সাসে কোনো প্রতিষ্ঠান আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
অন্যদিকে, গুগলের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এর আগে, প্রায় একই ধরনের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান মেটা (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) ২০২৪ সালে টেক্সাস সরকারের সঙ্গে ১৪০ কোটি ডলারে একটি আইনি সমঝোতায় পৌঁছেছিল। সেবারও অভিযোগ ছিল—মেটা অনুমতি ছাড়াই ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করেছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গোপনে তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং বাজারে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের মতো অভিযোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
শুধু তথ্য সংগ্রহই নয়, সম্প্রতি আরেক মামলায় একটি মার্কিন ফেডারেল আদালত রায় দিয়েছে গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির বাজারে অবৈধভাবে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখছে। এদিকে মেটার বিরুদ্ধেও চলছে একটি অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা। অভিযোগ রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর পথ রুদ্ধ করেছে। এ মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে মেটাকে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করে দিতে হতে পারে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: