ভারতকে সুরক্ষা দেয় যে দশ স্যাটেলাইট

ঈগল দৃষ্টিতে ভারতকে আগলে রেখেছে ইসরোর ১০টি স্যাটেলাইট। গবেষণা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উর্ধ্বেও যে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ কত কাজে লাগতে পারে তার উদাহরণ এগুলি।
রবিবার ইম্ফলের সেন্ট্রাল অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির (CAU) পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইসরো (ISRO) প্রধান ভি নারায়ণন বলেন, ভারতের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অন্তত ১০টি স্যাটেলাইট দিনরাত কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন আমাদের প্রতিবেশীদের কথা। দেশকে নিরাপদ রাখতে আমাদের স্যাটেলাইটের সাহায্য নিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের ৭,০০০ কিলোমিটার উপকূল অঞ্চল রয়েছে। তার পর্যবেক্ষণ করতে হয়। উত্তর ভারতের দিকটাও নিয়মিত নজরে রাখতে হয়। স্যাটেলাইট আর ড্রোন টেকনোলজি ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’
ভি নারায়ণন আরও জানান, মহাকাশ গবেষণায় সাম্প্রতিককালে ভারতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চন্দ্রযান-১ মিশনের মাধ্যমে প্রথমবার চাঁদের পৃষ্ঠে জলের অণুর (water molecules) অস্তিত্ব আবিষ্কার করে ভারত। এই আবিষ্কারের ফলে ভারতই চাঁদে জল খুঁজে পাওয়া প্রথম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত এখন একটি 'উদীয়মান মহাকাশ শক্তি' হিসাবে এগিয়ে আসছে। ২০৪০ সালের মধ্যে আমাদের নিজস্ব স্পেস স্টেশন থাকবে।’ ইসরো প্রধান জানান, ভারত এখনও পর্যন্ত ৩৪টি দেশের জন্য মোট ৪৩৩টি স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ‘আগে বিপর্যয়ের সময় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হত। এখন আর সেটা হয় না,’ মন্তব্য ইসরো প্রধানের।
যেকোনও দেশের মহাকাশ প্রযুক্তি বহু ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ম্যাপিং, শিক্ষা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং টিভি সম্প্রচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তো আছেই, এছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা, দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থায় স্যাটেলাইটের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি আরও জানান, জি২০ (G20) দেশগুলির জন্য ইসরো একটি নতুন স্যাটেলাইট তৈরি করছে। এর সাহায্যে জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ু দূষণ এবং আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ করা হবে।
চন্দ্রযান, গগনযান জাতীয় বড় মিশনের বিষয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন। ভারতের মহাকাশ খাতে এত খরচ যুক্তিযত কিনা, তার প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু বিজ্ঞান-গবেষণারও উর্ধ্বে, ইসরো যে দেশের নিরাপত্তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা বোঝার জন্য ইসরো প্রধানের এই বক্তব্যই যথেষ্ট।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: