হোয়াট্সঅ্যাপে ছবি দিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য চুরি! অ্যাকাউন্ট ফাঁকা

মোবাইল ফোন হ্যাক করে ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়ে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। গত কয়েক বছরে এধরনের সাইবার ক্রাইমের দাপটে আমজনতার নাজেহাল অবস্থ।
কী ভাবে হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকারেরা? হ্যাকের জন্য গ্রাহকের হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে ছবি পাঠাচ্ছে গ্রাহকরা। ছবিটা ডাউনলোড হলেই ফোনের যাবতীয় তথ্য, ওটিপি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। আগে এই কাজ লিঙ্ক পাঠিয়ে করত সাইবার অপরাধীরা। কিন্তু সরকারের জোড়োসোড়ে প্রচারের ফলে বর্তমানে অজানা-অচেনা লিঙ্কে কেউ আর সে ভাবে ক্লিক করে না বললেই চলে। তাই লিঙ্ক ছেড়ে ছবির আশ্রয় নিয়েছে হ্যাকারেরা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা হোয়াট্সঅ্যাপে যে ছবি পাঠানো হয়, তাতে থাকে অসংখ্য পিক্সেল। প্রতিটা পিক্সেলের মধ্যে লেখা রয়েছে কোনও না কোনও কোড। এই পিক্সেলগুলির মধ্যে কয়েকটা এমনও থাকে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। কোন ভাবে ওই কোড বদলে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। এর পর ওই ছবি হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠিয়ে ফাঁদ পাতে হ্যাকারের দল।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুঠোফোনের গ্রাহক সামাজিক মাধ্যমে আসা ছবি দেখলে তাতে সাথে সাথে ক্লিক করেন। এতে পিক্সেলের কোডগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ছবিটি মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে দেখতে পান তিনি। বিশেষজ্ঞদের কথায়, কোড বদলে দিয়ে এ ভাবেই যে কোনও ব্যক্তির ফোনে ম্যালঅয়্যার ঢোকাতে সক্ষম হন হ্যাকার। ফলে ওটিপি থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য চলে যায় তাঁর হাতে।
আক্ষরিক ভাবে স্মার্টফোন হ্যাক করা যায় না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ডিভাইসে ম্যালঅয়্যার ঢুকিয়ে তা করা মোটেই কঠিন নয়। তবে এই হ্যাকিং নির্ভর করবে অনেক কিছুর উপর। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল, ফোনটি কোন মডেলের, তাতে কী কী সফ্টঅয়্যার রয়েছে এবং হোয়াট্সঅ্যাপের কোন ভার্সান ব্যবহার করছেন গ্রাহক। এর থেকে সাবধান হতে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
প্রথমত, হ্যাকিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে মোবাইল ফোনের সফ্টঅয়্যার আপডেটেড রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অচেনা-অজানা নম্বর থেকে হোয়াট্সঅ্যাপে আসা ছবিতে ক্লিক বা ডাউনলোড করা যাবে না। এ ছাড়া ছবি অটো-ডাউনলোডের অপশনটি বন্ধ রাখতে বলেছেন সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞেরা।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: