সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৮০০ টাকায় ৫০ এমবি নির্ধারণের দাবি আইএসপিএবি`র

সরকারের নির্ধারিত ৪০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস নয় বরং সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৮০০ টাকায় ৫০ এমবিপিএস নির্ধারণের দাবি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)র। শনিবার সকালে মহাখালীর রাওয়া কমপ্লেক্সে টেলিকম বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত প্রস্তাবিত খসডা টেলিকম নীতিমালা; আইএসপি শিল্পের চ্যালেন্জ শীর্ষক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়।
কর্মশালায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা চেয়ে আইএসপিএবির ৭ দফা দাবি পেশ করে আইএসপিএবি নেতারা।
কর্মশালায় আইএসপিএবি সরকারের কাছে যেসব দাবি পেশ করে।
১. ফ্লোর ও সিলিং প্রাইস নির্ধারণ…
২. সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য ৮০০ টাকা নির্ধারণ (৫০ এমবিপিএস)
৩. অ্যাক্টিভ শেয়ারিং চালু করা (সেবার মান ভালো হবে, ইন্টারনেটের দাম কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে)
৪. লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি আইএসপির কাছে থাকা।
৫. এনটিটিএনের সার্ভিস চার্জ এক অংকে নামিয়ে আনা
৬. সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) ও রেভিনিউ শেয়ার তুলে দেওয়া
৭. স্থানীয় তথা দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দেওয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া, সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম, এমদাদুল হক। সার্বিক প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন মোবারক হোসেন।
আমিনুল হাকিম বলেন, প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নীতিগতি সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। যা আত্ম-বিরোধী।
তিনি বলেন, কম মূল্যে সবচেয়ে ভালো ইন্টারনেট সেবা দেওয়া বাস্তব সম্মত নয়। এটা সস্তা রাজনীতির পর্যায়ে পড়েছে। সরকার ছাড় না দিলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার আইএসপি খাত থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ কর ও রাজস্ব নেয়, সেখানে সাশ্রয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা কম দামে ভালো ইন্টারনেট সেবা দিতে চাই। এ জন্য একটি ভালো পলিসি দরকার।
কর্মশালায় আইএসপি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, অ্যাক্টিভ শেয়ারিংয়ের অভাবে দেশের প্রচুর অর্থের অপচয় হচ্ছে। এটা কমাতে এরই মধ্যে আমরা ১ জিবিপিএসের একটা কমন ক্যাবল লাইন করেছি ধানমন্ডিতে, যার মাধ্যমে ৭৭টি আইএসপি একসঙ্গে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হচ্ছে। টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দে -এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: