জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দলের বাংলাদেশি সদস্য বিজ্ঞানী লামিয়া

“এসএমএসিএস ০৭২৩” নামের ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আাগের একটি রঙ্গিন ছবি প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে দিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। শক্তিশালী টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রথমবারের মতো এরকম কোন ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও মহাকাশ অভিযাত্রার জন্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক ঐতিহাসিক মুহূর্তকে তুলে ধরে জেমস ওয়েবের প্রথম ছবি। এবং এটি আমেরিকা ও পুরো মানবজাতির জন্য।’
যে টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই ছবি তোলা হয়েছে সেই দলের গর্বিত এক বাংলাদেশি সদস্যের নাম লামিয়া আশরাফ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই নারী পেশায় একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট। জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১ হাজার জ্যোতির্বিদ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ প্রকল্পে কাজ করেছে।
লামিয়া আশরাফ গণমাধ্যকে জানান, আমরা যে সফলতা অর্জন করেছি তার কোন তুলনা হয় না। এখন প্রাপ্ত ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করে গ্যালাক্সির বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারবো।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পে 'আমি গ্যালাক্সিগুলোর গঠন নিরীক্ষা করার জন্য বিশ্লেষণী পাইপলাইন তৈরি করেছি।'
লামিয়া দেশের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ও এবং এ লেভেল পাস যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে ওয়েলসলি কলেজ থেকে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন পরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। ২০২০ সালে একজন ফেলো হিসেবে কানাডার ডানল্যাপ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে কাজ করেন তিনি।লামিয়া বলেন, যেহেতু ১ হাজার জ্যোতির্বিদ এই প্রকল্পে কাজ করছে। তাই এই প্রকল্পে আরো বাঙ্গালি খুঁজে না পাওয়া অবাক করার মতো ব্যাপার।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুখস্ত বিদ্যা কেন্দ্রিক পড়াশুনার কারনে তারা গবেষণা কেন্দ্রিক পড়াশুনা থেকে পিছিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে গভেষনার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে সরকারকে আরো এগিয়ে আসা উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থীরা অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। শুধু তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: