মৃত্যুর পর কারো ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে মোবাইলের লক খোলা যাবে?

বর্তমান সময়ে মোবাইলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দ্বারা গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। এর প্রধান এবং একটি আকর্ষণীয় প্রশ্ন হচ্ছে যে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর সাহায্যে তার মোবাইলের লক খোলা যাবে কি না ?
জেনে রাখা ভালো যে প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকে এবং যা অন্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়। এমন কি বাচ্চারা যমজ হলেও তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভিন্ন হয়। সবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট আলাদা হওয়ার কারণে এটি নিরাপত্তার দিক দিয়ে বেশ সুরক্ষিত। এই কারণে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফোন ছাড়াও অনেক সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পরেও তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর কোন পরিবর্তন হয় না। কিন্তু এটি মৃত্যুর পর অল্প সময়ের জন্য সক্রিয় থাকে। একবার লাশ পচতে শুরু করলে আঙুলের ছাপও নষ্ট হতে শুরু করে। শরীর সাধারণত ২৪ ঘন্টার পর থেকে পচতে শুরু করে। সাধারণত একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার ফোন আনলক করা যাবে না। কারণ, মোবাইল সহ অন্যান্য ডিভাইস গুলোতে যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করা হয়, তা কেবল আঙ্গুলের বাইরের আবরণ কেই না, আঙ্গুলের মধ্য প্রবাহিত ইলেকট্রনিক ইম্পালসগুলোকেও ট্র্যাস করে।
এমন অবস্থায় যখন মোবাইলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরে মৃত ব্যক্তির আঙুল রাখা হয়, তখন সেন্সর আঙুলে কোন রকম ইলেকট্রনিক ইম্পালস অনুভব করে না। মৃত্যুর কারণে শরীরের নিউরনও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এমন অবস্থায় ইলেকট্রনিক ইম্পালসগুলো থেমে যায়। তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ফোন আনলক করতে পারে না।
এবার আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে যে তাহলে অজ্ঞান অবস্থায় বা কোনো মানুষ কোমা তে থাকলে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কি কাজ করে? এর উত্তর হলো হ্যাঁ করে, কারণ তার বডি সক্রিয় না থাকলেও তাদের ব্রেইন এবং হার্ট সব সমই এক্টিভ থাকে। কিন্তু তাতেও ফোনের লক খোলা সম্ভব হবে না।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: