• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

এমসিসফট অনলাইন আক্রমন ঠেকাতে শতভাগ কার্যকরী: দাবি ব্লুডট এমডির

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ৫ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৭:৫৬, ৫ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
এমসিসফট অনলাইন আক্রমন ঠেকাতে শতভাগ কার্যকরী: দাবি ব্লুডট এমডির

নিউজিল্যান্ডভিত্তিক অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ‘এমসিসফট’ অনলাইন আক্রমণ ঠেকাতে শতভাগ কার্যকরী বলে দাবি করেছেন ব্লুডটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সফটওয়্যারটি একই ক্যাটাগরীর অন্য যে কোন সফটওয়্যারের তুলনায় অধিক কার্যকরী। রবিবার (৫ মার্চ) মুঠোফোনে বাংলাভিশনকে এসব তথ্য জানান তিনি। 

এমসিসফট অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার-এ যে চার স্তরের প্রটেকশন ব্যবস্থা তার মাধ্যমে যে কোন আক্রমনকে শতভাগ প্রটেক্ট করা সম্ভব। এর মাধ্যমে যে কোন ফাইলকে এমসিসফট ও বিটডিফেন্ডার ডুয়েল ইঞ্জিন স্ক্যান করবে। এরপর ম্যালওয়ারের ফাইল পরিবর্তন ঠেকাতে এআই সমর্থিত ম্যালওয়্যার সনাক্তকরণ সিস্টেম ব্যবহার করবে। 

ছবি: এসসিসফট ব্লগস্পট (বিভিন্ন সিকিউরিটি পণ্যের কার্যকারীতার তুলনামূলত চিত্র- জানুয়ারী-২০২৩)

সাইফুল ইসলাম বলেন, এভিল্যাব সাইবার সিকিউরিটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে বিভিন্ন সিকিউরিটি পণ্যের পরীক্ষায় ‘এমসিসফট’ শতভাগ সাফল্য দেখিয়েছে, যেখানে অন্যান্য পণ্যের কার্যকারীতা ছিল ৯৩ শতাংশ। ফলে এসসিসফট সিকিউরিটিকে ‘এক্সিলেন্ট ব্যাজ’ প্রদান করা হয়। 

ছবি: স্ক্রিন শর্ট (এমসিসফট ব্লগস্পট)

বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে হোম ক্যাটাগরিতে ১২ মাসের জন্য ২,৮৫০ টাকার অফিসিয়াল অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার ৫৫৫ টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে বাংলাভিশনকে সাইফুল ইসলাম বলেন,  সফটওয়্যারটির দাম কমাতে ইতোমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের মূল প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা চলছে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এমসিসফট এর ব্লগ পোস্ট থেকে জানা গেছে, এমসিসফট কম্পিউটারের ফায়ারওয়ালের সাথে একীভূত হয়ে কাজ করে ফলে ডিভাইস থেকে খুবই কম পরিমাণ রিসোর্স ব্যবহারের কারনে পিসি স্লো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। 

পিসিতে উইনডোজ ১০ (৬৪ বিট) বা উইনডোজ ১১ (৬৪ বিট) অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকলে এমসিসফট অ্যান্টি-ম্যালওয়ার ব্যবহার করা যায়। অপরদিকে, এ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ (ললিপপ) এর পটরের সকল ভার্সনে এটি ব্যবহার করা যায়। 

ব্লুডট টেকনোলজির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে যায়, এমসিসফটের ওয়েব কনসোল একাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনেই যেকোনো জায়গা থেকে ব্যবহারকারী তার ডিভাইসের সিকিউরিটি স্ট্যাটাস চেক করতে পারবে এবং সকল ইনসিডেন্ট মনিটরিং করতে পারবে। এটি এক মিনিটেরও কম সময়ে কম্পিউটার স্ক্যান করতে পারে এবং সকল ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসসমূহ রিমুভ করতে পারে। 

এটি আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর ফাইলগুলোকে কোয়ারান্টাইন করে রাখে যাতে এসব ক্ষতিকর ফাইল দ্বারা কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এটি একই সাথে এন্টিভাইরাস, ইন্টারনেট সিকিউরিটি, ওয়েব সিকিউরিটি, ফায়ারওয়াল হিসাবেও কাজ করে থাকে।

যে চার স্তরে প্রটেকশন দিবে ‘এমসিসফট’:

‘ওয়েব প্রোটেকশন অ্যান্ড ব্রাউজার সিকিউরিটি (অ্যান্টি-ফিশিং)’ ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় ভুল করে কোনো ক্ষতিকারক ওয়েবসাইটে ঢুকলে তাৎক্ষণিক কানেকশন ব্লক করে আপনাকে সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাবে।

‘রিয়েল-টাইম ফাইল গার্ড’ কম্পিউটারে থাকা সকল ফাইল ডুয়েল ইঞ্জিন (এমসিসফট ও বিটডিফেন্ডার) স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করবে এবং এআই সমর্থিত ম্যালওয়্যার সনাক্তকরণ সিস্টেমের মাধ্যমে কম্পিউটারে থাকা সকল ফাইল মনিটর করবে, যাতে কোনো ম্যালওয়্যার ফাইল পরিবর্তন করতে না পারে। 

‘বিহেভিয়ার ব্লক’ কম্পিউটার ব্যবহারের সময় ডিভাইস ধারাবাহিকভাবে মনিটরিং করবে এবং যদি কোনো সন্দেহজনক অ্যাক্টিভিটি ডিটেক্ট করে তাহলে সাথে সাথে অ্যালার্ট সেন্ড করবে এবং যে অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার এর জন্য দায়ী তাকে ব্লক করবে।

‘অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার’ কোনো র্যানসমওয়্যার কম্পিউটারের ফাইলকে এনক্রিপ্ট করার আগেই এমসিসফটের অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার মনিটরিং সিস্টেম এটিকে থামিয়ে দেবে।


 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: