• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

হায়ার অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১৪ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৭:০৮, ১৪ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
হায়ার অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ সালের মধ্যে দেশের ২০ হাজার আইটি স্নাতককে প্রশিক্ষণ প্রদান ও কর্মসংস্থানের জন্য ‘হায়ার এন্ড ট্রেইন প্রোগ্রাম’ চালু করেছে সরকার। সোমবার (মার্চ)  রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।  

বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইডিজিই প্রকল্প উপদেষ্টা সামি আহমেদ, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট অ্যান্ড প্রোগ্রাম লিডার রাজেশ রোহাতগি, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, উপ-প্রকল্প পচিালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান। ইডিজিই প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টীম লিডার ড. মাহফুজুল ইসলাম শামীম এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী শতাধিক কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমআইএস ও আইআইটি এবং বুয়েটের সহযোগিতায় দেশের আইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হায়ার এন্ড ট্রেইন মডেলে ২০২৬ সালের মধ্যে ২০ হাজার স্নাতককে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), রোবটিক্স, অগমেন্টেড রিয়ালিটি, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, ব্লকচেইনের মতো অগ্রসর প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের পর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পরিবর্তন ঘটছে ক্ষিপ্র গতিতে। এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে না চললে আমরা পিছিয়ে যাব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ইতোমধ্যে মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, রোবটিক্স ও সাইবার সিকিউরিটি- এই চার প্রযুক্তি নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেওয়ায় সরকার ইতোমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এসব বিষয়কে বিবেচনায় রেখে পাবলিক, প্রাইভেট এবং একাডেমিয়া এই তিন স্টেকহোল্ডার মিলে ‘হায়ার এন্ড ট্রেইন কর্মসূচি’র ডিজাইন করা হয়েছে, যার বৈশিষ্ট্য হলো আইটি কোম্পানীগুলো তাদের চাহিদা অনুয়ায়ী স্নাতকদের চাকুরিতে নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ দেবে। 

তিনি বলেন হায়ার অ্যান্ড ট্রেইন মডেল পাবলিক-প্রাইভেট-একাডেমিয়া-এই তিনের মধ্যে একটি চমৎকার পার্টনারশিপ গড়ে তুলছে। বিগত দিনগুলোতে আমরা একসাথে কাজ করে ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমিয়ার দূরত্ব অনেকাংশে আনতে সক্ষম হয়েছি এবং আগামীতে তা আর থাকবে না। 

পলক বলেন, আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমআইএস ও ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজি (আইআইটি) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যুক্ততায় হায়ার এন্ড ট্রেইন’ কর্মসূচিতে আইটি গ্রাজুয়েটরা অগ্রসর প্রযুক্তিতে ভালো মানের প্রশিক্ষণ লাভ করবে এবং তারা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করছে উদ্ভাবন ও গবেষণার বিকাশ এবং উন্নত ও অগ্রসর প্রযুক্তিতে মানুষের দক্ষতার উন্নয়নের ওপর। সরকার তাই একদিকে যেমন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত ল্যাব, ইনকিউবেশন সেন্টার, গবেষণা ও উদ্ভাবন সেন্টার (আরআইসি) প্রতিষ্ঠা করছে, অপরদিকে তেমনি অগ্রসর প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানুষ তৈরির ওপর জোর দিয়েছে। অগ্রসর প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থায়ী রূপ দিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি।

পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারও আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে রূপান্তরের স্বপ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগেই একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

পরে সামি আহমেদ এর সঞ্চালনায় ‘স্কীলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমআইএস এর পরিচালক অধ্যাপক আকরাম হোসেন, বুয়েটের আরআইএসই এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, ঢাবি’র আইআইটি’র পরিচালক ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিএসিসিও সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ এবং বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায়।
 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: