• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জাহাজে সোমালি জলদস্যুদের আক্রমণের যত নমুনা (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১৪ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ

তারা ছিলেন সাদামাটা জেলে। কিন্তু জীবিকার তাগিদ ও অভাবের তাড়নায় বেছে নিয়েছেন দস্যুতার পথ। যুদ্ধবিগ্রহে বিধ্বস্ত সোমলিয়ার জলসীমার নিরাপত্তায় দীর্ঘদিন ছিলো না কোনো কোস্টগার্ড। আর সেই সুযোগে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর জলদস্যু গোষ্ঠী।

সময়ের সাথে সাথে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা এখন চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ায় গোষ্ঠীটি আবারও আলোচনায় এসেছে।

সোমালিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৯৫ সাল থেকে মূলত জলদস্যুদের বিচরণ শুরু হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে তাদের তৎপরতা। বিভিন্ন সময়ে গোষ্ঠীটি মুক্তিপণ নিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তি দিলেও হত্যার মতো নৃশংস আচরণেও পিছপা হয়নি। হর্ন অব আফ্রিকা হয়ে চলাচলকারী সব পণ্যবাহী জাহাজগুলোর কাছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা এক আতঙ্কের নাম। অনেক আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রযুক্তিও হার মানতে বাধ্য হচ্ছে এই সোমালি জলদস্যুদের কাছে।

বিভিন্ন সময় দুর্ধর্ষ সব আক্রমণ চালিয়ে আলোচনায় এসেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। লুটপাট, নাবিকদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় কিংবা অতর্কিত হামলা, গোলাবর্ষণের মত কর্মকাণ্ডও ঘটিয়ে থাকে এ দস্যুরা।

২০০৫ সালে হংকংভিত্তিক কোম্পানির জাহাজ  এমভি ফাইস্টি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি সুনামি দুর্গতদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলো। একই বছরে সি বর্ন স্পিরিট নামের একটি বিলাসবহুল জাহাজ উপকূলে এ দস্যুদের কবলে পড়ে। ২১০ জন যাত্রী থাকা ওই জাহাজে দস্যুরা দুটি স্পিডবোট নিয়ে অব্যাহতভাবে আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ করে। তবে যাত্রীদের কৌশলের কারণে এ হামলা বিফলে যায়।

ভারতের জাহাজ এমভি সাফিনা আল-বিরসারাত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে ২০০৬ সালে। জাহাজটির ১৬ নাবিককে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় একজন জলদস্যু নিহত ও ১২ জন গ্রেপ্তার হয়।

২০০৭ সালে ছয় কেনীয় ও বারো শ্রীলঙ্কান নাগরিক সহ একটি জাহাজ দখলে নেয় সোমালি জলদ্যুরা। এ ঘটনায় হত্যা করা দুইজন কোস্টগার্ড সদস্যকে। একই বছর আরেক ঘটনায় দস্যুদের হাতে নিহত হন এক চীনা নাগরিক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজের মালিকপক্ষ যোগাযোগ না করায় প্রাণ যায় তার।

তবে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি মনি জাহাজটি ছিনতাই করেছিলো সোমালিয়ান জলদস্যুরা। ওই জাহাজের ২৫ ক্রু এবং প্রধান কর্মকর্তার স্ত্রী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন। প্রায় ১০০ দিন জিম্মি থাকার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
 
বিবিসির একটি প্রতিবেদন বলছে, মূলত জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা হিসেবে নিতে বাধ্য হন সোমালি জেলেরা। দেড় দশক আগে প্রথম দফায় বেশ কিছু জেলে এই দস্যুতায় জড়িয়ে পড়ে। বিদেশি ট্রলার এসে তাদের এলাকায় অবৈধভাবে মাছ ধরতো। ফলে, স্থানীয় জেলেরা জীবিকার সংকটে পড়ে ডাকাতিকে পেশা নিতে বাধ্য হয়। শুধু ২০১৮ সালেই পূর্ব আফ্রিকান জলসীমায় ১১২টি নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। আর গত বছরের নভেম্বরে থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র তিন মাসেই সোমালিয়া উপকূলে ছিনতাই করা হয়েছে  অন্তত ১৪টি জাহাজ।

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2