• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

উষ্ণতম বছরের রেকর্ড গড়েছে ২০২৪, তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
উষ্ণতম বছরের রেকর্ড গড়েছে ২০২৪, তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি

এক বছরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিকভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ব্যাপক ‘দুর্দশায় পড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ’। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস)’ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের পর এক বছরেই বেড়েছে শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। ২০২৪ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির যে রেকর্ড হয়েছে এমন অভিজ্ঞতা আধুনিক যুগের মানুষ আগে কখনো পায়নি।

এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রধান কারণ জীবাশ্ব জ্বালানী পোড়ানো এবং তেল, গ্যাস, কয়লার ব্যবহার পরিবর্তন করা না গেলে জীবনধারণে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে থাকবে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, যদি দশ বছরে ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষমাত্রা ধরা না হয় তাহলে তীব্র হতে থাকে জলবায়ুর অবস্থা। অথচ, গত ১০ বছরের প্রতিবছর যে পরিমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তা ১৮৫০ সালে রেকর্ডে কাছে নিয়ে গেছে।

সি৩এস এর তথ্য আরও বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের ৪৪ শতাংশ মানুষ উচ্চ তাপমাত্রা কারণে আক্রান্ত হয়েছে এবং ২২ জুলাই ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের দিন। 

সি৩এস এর ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. সামান্থা বার্গেস বলেছেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ববাসী গড় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি অতিক্রম করেছে যা কিনা সকলকেই ঝুঁকিতে ফেলেছে। ২০২৪ সালে এই উচ্চ তাপমাত্রার কারণে রেকর্ড  ব্যাপক তাপপ্রবাহ এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্ভোগের কারণ।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ডাঃ ফ্রেডেরিক অটো বলেছেন, এই রেকর্ডটি বাস্তবতার সঙ্গে যাচাই করা দরকার। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াসম্পন্ন গত এক বছরের দিকে তাকালেই দেখা যায়, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জীবন কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে গিয়েছে। ভ্যালেন্সিয়া বন্যা, যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন, ফিলিপাইনে টাইফুন এবং আমাজন খরা; গত বছর মাত্র এই চারটি দুর্যোগে দিকে তাকালেও বোঝা যায় জলবায়ু পরিবর্তনে কতটা খারাপ পরিস্থিতি আসতে পারে। সামনে অনেক আছে, আরও অনেক।"

তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া বন্ধ করার জন্য যাদুকরী কোন সমাধান নিয়ে আসার দরকার নেই। আমরা সকলেই জানি, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে, বন উজার বন্ধ করতে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আমাদের সকলকে আরও সচেতন হতে হবে।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: