• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ভারতে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষে আহত ৯, কারফিউ জারি

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১৯ মার্চ ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ভারতে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষে আহত ৯, কারফিউ জারি

ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবের জেরে মুসলমানদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের জেরে দোকানপাট ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয়েছে কারফিউ। এতে আহত হয়েছে ছয় বেসামরিক নাগরিক ও তিন পুলিশ অফিসারসহ ৯ জন। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাগপুর ছাড়াও মহারাষ্ট্রের আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়েছে সংঘর্ষ। 

কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের উগ্র আচরণ আর ক্ষোভের আগুনে এবার পুড়ছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর। আবারও ছড়িয়ে পড়েছে হিন্দু-মুসলিম সহিংসতা। পাথর ছোঁড়াছুঁড়ির পাশাপাশি দোকানপাট ও গাড়িতে ভাংচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এতে আহত হয়েছে ছয় বেসামরিক নাগরিক ও তিন পুলিশ অফিসারসহ ৯ জন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয় কারফিউ। কিন্তু কেন এই হিন্দু-মুসলিম সহিংসতা? কী কারণে এতোটা উগ্র আচরণ হিন্দুত্ববাদীদের? 

এই সংঘাত-সংঘর্ষের শুরু সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সেই সমাধি সেখান থেকে সরানোর দাবি অনেক দিন ধরেই জানিয়ে আসছে। সোমবার, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবকে অত্যাচারী শাসক উল্লেখ করে তার কবর সরিয়ে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। নাগপুরের খুলদাবাদে স্থানীয় মুসলিমরা মাজার ঘিরে অবস্থান নিলে আওরঙ্গজেবের একটি ছবি এবং সবুজ কাপড়ে ঢাকা এক প্রতীকী কবর আগুনে পোড়ায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। প্রয়োজনে বাবরি মসজিদের মতো মাজার গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন দল দু'টির শীর্ষ নেতারা।এরইমাঝে, কোরআন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়, যাতে মুসলমান সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। এরপরই পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।  পুলিশ টিয়ারগ্যাস আর ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন ও দোকানে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। হামলা হয় পুলিশের ওপরও। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর যানবাহনে লাগানো আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের সাতটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
 
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে সোমবার রাতেই শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে।

হঠাৎ, কেন আওরঙ্গজেবের ওপর এতো ক্ষোভ? আওরঙ্গজেবের ওপরে মানুষের ক্ষোভের উৎস হলো বলিউডের ছবি ‘ছাওয়া’। সেখানে দেখানো হয়েছে, আওরঙ্গজেবের হাতে সম্ভাজি মহারাজের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরই, কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আওরঙ্গজেবের সমাধি রাজ্য থেকে সরানোর পুরোনো দাবি নতুন করে তুলতে থাকে। তবে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর পক্ষে নয় ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেস। তারা বলছে, না আছে মুঘল সাম্রাজ্য, না আছেন মুঘল সম্রাট। কিন্তু মৃত্যুর ৩০০ বছর পরও আওরঙ্গজেবের নামে কেন অশান্তি ছড়াচ্ছে ভারতে, এই প্রশ্ন বিজেপির। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, সমাধি সরানোর দাবি জানানোর অর্থ ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানোর চেষ্টা।

তাহলে কেন আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবি উঠেছে? কেনই বা তা নিয়ে হিংসা ছড়াচ্ছে? এর নেপথ্যে কী রয়েছে কী কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিমবিরোধী রাজনীতি?
 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2