• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ইউক্রেনকে ন্যাটো ও ক্রিমিয়ার আশা ছাড়তে হবে: ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১৮ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৯:৫৮, ১৮ আগস্ট ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ইউক্রেনকে ন্যাটো ও ক্রিমিয়ার আশা ছাড়তে হবে: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে তার দেশে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে পারেন। তবে এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। আর এটাই হবে শান্তিচুক্তির একটি অংশ। এমনটাই বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

হোয়াইট হাউসে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এ সংক্রান্ত পোস্ট দেন।

ইউক্রেনে রাশিয়া পুরোদমে হামলা শুরুর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় মস্কো।

এর আগে শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় হওয়া বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে সরে এসে স্থায়ী শান্তিচুক্তির আহ্বান জানান।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে গত রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন জেলেনস্কি। তিনি কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আবারও মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পর এটাই হবে তাদের প্রথম বৈঠক। তবে এবার জেলেনস্কি একা নন। তার ইউরোপীয় মিত্ররাও ওয়াশিংটনে আলোচনায় যোগ দেবেন।

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ আরও কয়েকজন নেতা জেলেনস্কির সঙ্গে ওয়াশিংটনে আলোচনায় অংশ নেবেন। তারা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার দুই দিন পরই জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প।

গত রোববার এক মার্কিন দূত বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে ন্যাটোর মতো একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে পুতিন সম্মত হতে পারেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে আসছেন।

রবিবার রাতে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন, অথবা চাইলে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখুন, কীভাবে সবকিছু শুরু হয়েছিল। ওবামার আমলে ক্রিমিয়া চলে গিয়েছিল (১২ বছর আগে, একটিও গুলি ছোড়া হয়নি!), আর ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান, সেটা একেবারেই হবে না। কিছু বিষয় কখনোই বদলায় না!

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন: