গাজার সেই তাওহীদ মসজিদে আজান ও নামাজ হলো দীর্ঘ দিন পর

বোমা-গুলি, ধ্বংসযজ্ঞ, মৃত্যু আর রক্তের হলিখেলা শেষ হয়েছে পূণ্যভূমি গাজায়।যুদ্ধবিরতির পর আবার খোলা হয়েছে গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত শাতি শরণার্থী শিবিরের সেই তাওহীদ মসজিদ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মসজিদে শোনা গেছে আজান। এমনকি হয়েছে জামায়াতে নামাজও।
দীর্ঘ নীরবতার পর আজানের ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে ধ্বংসস্তূপের শহরে; স্থানীয়রা বলছেন, “এ যেন নতুন জীবনের সূচনা।” এর মাধ্যমে মসজিদটি ফিরে পেয়েছে ধর্মীয় আবহ। স্থানীয়দের মাঝে আশা জাগাচ্ছে ও তাদের উজ্জীবিত করছে।
মসজিদটি শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এটি একমাত্র মসজিদ যা ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় লক্ষ্যবস্তু হয়নি। ফলে, পুরো সংঘর্ষকালে এটি দাঁড়িয়েছে মানুষের দুর্দশা এবং স্থিরতার সাক্ষী হিসেবে।
গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো আজান বেজে ওঠে মসজিদে, এই আজান যেন স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে জীবনের সুরক্ষা এবং শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
মসজিদে প্রবেশ করে কৃতজ্ঞচিত্তে সেজদা করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি বললেন, এই মসজিদ আমার ঘরের মতো ছিল, যুদ্ধ শুরুর পর আমি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। আমি কল্পনাও করতে পারিনি যে এত কঠিন যুদ্ধের পরেও মসজিদটি অক্ষত থাকবে।
মসজিদটির ফের খোলায় অন্য এক মুসল্লি একে ‘প্রাণের পুনরুত্থান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বোমাবর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞের পর আজানের ধ্বনি ফিরে আসায় পুরো এলাকা যেন আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এক মুসল্লি বলেন, “আজানের সুরে আমরা ফিরে পেয়েছি বিশ্বাস আর আশার আলো।”
মসজিদটির মুয়াজ্জিন জানিয়েছেন, আল্লাহর রহমত যে এই মসজিদ এখনো সুরক্ষিত। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় ও ইবাদত করতে পারে তাই যুদ্ধবিরতির পর আমরা মসজিদটি পুনরায় পরিষ্কার করেছি।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: