• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

মামদানিকে বিপদে ফেলতে ইসরাইলপন্থীদের নতুন চাল! (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ৬ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ

''ইতিহাসে খুব কম সময়ই এমন মুহূর্ত আসে, যখন আমরা পুরোনো থেকে নতুনের পথে পা বাড়াই।'' নিউইয়র্ক-এর মেয়র নির্বাচিত হয়ে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ উদ্ধৃত করেই নিজের বিজয় উদযাপন করেছেন জোহরান মামদানি। 

প্রথম মুসলিম হিসেবে নিউইয়র্ক-এর মেয়র পদে জয়ী হয়ে পুরো বিশ্বের নজর কেড়েছেন ৩৪ বছর বয়সী মামদানি। তবে তার জয়ে বেজায় নাখোশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্ররা। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিইয়াহুও জানিয়ে দিয়েছিলেন মামদানি মেয়র হলে তিনি নিউইয়র্ক সফরেই আসবেন না। 

গত ২১ জুলাই এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে জোহরান মামদানির কোঠোর সমালোচনা করেছিলেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছিলেন, মেয়র নির্বাচিত হলেও এক মেয়াদের বেশি টিকবেন না মামদানি। আর নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা বাস্তবায়ন করতেই হয়তো এবার উঠেপড়ে লেগেছেন কট্টর ইসরাইলপন্থীরা।

মামদানির বিজয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আনন্দের ঢেউ উঠলেও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থি নেতারা। মামদানিকে ইতোমধ্যেই ‘হামাস-সমর্থক মেয়র’ আখ্যা দিয়েছেন ইসরাইলি এক মন্ত্রী। এর পাশাপাশি ইসরাইলের আরেক মন্ত্রী তো নিউইয়র্ক থেকে ইহুদিদেরই পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

৬ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানির বিজয়ের পর শহরটির ইহুদি নাগরিকদের শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন আমিচাই চিকলি। তিনি ইসরাইলের প্রবাসী বিষয়ক ও ইহুদি-বিরোধিতা দমন বিষয়ক মন্ত্রী। মামদানির জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এই কট্টরপন্থি মন্ত্রী লিখেন, “যে শহর একসময় বিশ্ব স্বাধীনতার প্রতীক ছিল, সেটি এখন হামাস-সমর্থকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও লেখেন, “নিউইয়র্ক আর কখনও আগের মতো থাকবে না, বিশেষ করে এখানকার ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য। আমি নিউইয়র্কের ইহুদিদের আহ্বান জানাচ্ছি— ইসরাইলে নতুন করে জীবন শুরু করার কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবুন।” চিকলির এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ইসরাইলের আরেক ডানপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। 

দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া মামদানি সাম্প্রতিক সময়ে ইহুদি-বিরোধিতা ও ইসলামবিদ্বেষ— দুটিরই প্রকাশ্যে নিন্দা করেছেন। তিনি নিজেও ইসলামবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন। মেয়র হওয়ার পরও তিনি স্থানীয় ইসরাইলপন্থীদের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন অনেকে। 

নিউইয়র্কে একটি বিশাল ও প্রভাবশালী ইহুদি সম্প্রদায় রয়েছে। ইসরাইলি মন্ত্রীদের এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগের সৃষ্টি করতে পারে। ইহুদিরা দেশ ছাড়তে শুরু করলে তার প্রভাব অন্য ডানপন্থীদের ওপরও পড়তে পারে। এছাড়া নিউইয়র্কের ইহুদি সম্প্রদায় কোনো আরাজকতায় জড়ালে সেটি সামাল দিতেও হিমশিম খেতে পারেন মামদানি। ফলে, এই সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জন  ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো মামদানি কীভাবে সামাল দেবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।  

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন: