• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ম্যারাডোনা’রঃ এবার ধর্ষণ ও মানবপাচারের মামলা

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ২৩ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৭:০৮, ২৩ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ম্যারাডোনা’রঃ এবার ধর্ষণ ও মানবপাচারের মামলা

মৃত্যুর পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ফুটবলের ঈশ্বরখ্যাত ডিয়াগো ম্যারাডোনা’র। এবার এক কিউবান নারী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তির বিরুদ্ধে। এই তথ্য জানা গেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে।

দু’দিন পর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ডিয়েগো ম্যারাডোনা’র। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ছিয়াশি’র মহানায়ক। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই ম্যারাডোনা’র বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ আনলেন মেইভিস অ্যালভারেজ রেগো নামের এক কিউবান নারী। দুই দশক আগে প্রয়াত আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তির সংগে সম্পর্ক ছিলো তাঁর।

২০০১ সালে ম্যারাডোনার বয়স যখন ৪০ আর মেইভিস-এর বয়স ছিলো ১৬, ওই সময় সম্পর্কে জড়ান দু’জনে। তাদের এই সম্পর্ক টিকে ছিলো চার বছর।

৩৭ বছর বয়সী মেইভিস অ্যালভারেজ রেগো জানান, আজ থেকে বিশ বছর আগে ঘটেছিল এ ঘটনা। ১৬ বছর বয়সে তাঁর দেখা হয়েছিলো ম্যারাডোনার সংগে। মাদক নিরাময়ের জন্য ম্যারাডোনা তখন কিউবাতে ছিলেন।

দু’জনের পরিচয়ের স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ তিনি আমাকে পুরোপুরি জয় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

ম্যারাডোনা তাঁকে কোকেন সেবন করানোর চেষ্টাও করেছিলেন, জানান মেইভিস। যে কারণে তাঁর প্রতি ঘৃণাও সৃষ্টি হয়েছিলো ওই কিউবান তরুণীর। 

তিনি বলেন, আমি তাঁকে ভালোবাসতাম, কিন্তু আমি তাঁকে ঘৃণাও করতাম। এমনকি তাঁর জন্যে আমার মাথায় আত্মহত্যার চিন্তাও কাজ করতো তখন।

অভিযোগকারী মেইভিস অ্যালভারেজ রেগো

বর্তমানে ১৫ ও ৪ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা মেইভিস জানান, তাদের সম্পর্ক টিকেছিলো ৫ বছর। তবে এ সময়ের পুরোটাই তাঁকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। শেষদিকে ম্যারাডোনার সংগে তিনি বুয়েনস এইরেসেও গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে বহুদিন তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে হোটেলের ঘরে আটকে রাখা হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেন মেইভিস। এমনকি তাঁর স্তনবৃদ্ধিকরণের অস্ত্রোপচারও করা হয় বলে জানান তিনি।

তিনি দাবি করেন, ম্যারাডোনা তাঁকে একবার তাঁর হাভানার ঘরে ধর্ষণ করেছিলেন। এর বাইরে অনেকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হতে হয়েছে তাঁকে।

মেইভিস বর্ণনা দেন, কীভাবে তিনি ম্যারাডোনার হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি বলেন, এটা সত্য যে, তিনি আমাকে মারতেন এবং তা অনেকবার তা ঘটেছে। একবার তিনি আমাকে ডাইনিং রুম থেকে বের করে দিয়েছিলেন। আরেকবার গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার পথে চুল টেনে ধরেছিলেন।

এসব অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ম্যারাডোনা’র বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। তবে সেই মামলা মেইভিস নিজে করেননি। এক আর্জেন্টাইন এনজিও ‘ফাউন্ডেশন ফর পিসের’ মাধ্যমে সেই মামলা করা হয়েছে। এতে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে মানবপাচার, স্বাধীনতা খর্বকরণ, জোরপূর্বক দাসত্বে বাধ্য করা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন: