• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১১ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করবো না: শাহবাজ শরীফ

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১০ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করবো না: শাহবাজ শরীফ

অনাস্থা ভোটে ইমরান খান হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান শাহবাজ শরিফ জাতীয় ভাষনে বলেছেন, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করব না। আমরা সবকিছু ভূলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। 
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেককে তাদের ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাকিস্তান যে সংবিধান ও আইনের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা আবার ফিরে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাষনে শাহবাজ খান আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপরাধ মানুষকে জেলে পাঠাবো না।’ আমি কিংবা বিলাওয়াল অথবা মাউলানা ফজলুর রেহমান আমরা কেউ হস্তক্ষেপ করব না। আইন বহাল থাকবে এবং আমরা বিচার বিভাগকে সম্মান করব। ভাষণের শেষে তিনি নতুন স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়া সাদিককে ধন্যবাদ জানান। 

গতকাল শনিবার ( ৯ এপ্রিল) সারাদিন ধরে নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহ, মধ্যরাতের আগের মুহুর্তে স্পীকার এবং ডেপুটি স্পীকারের পদত্যাগ এবং অধিবেশন থেকে পাকিস্তান তেহরিক–ই-ইনসাফ দলের সদস্যদের প্রস্থান স্বত্বেও যা গত মার্চ মাস থেকেই অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে হচ্ছিলো তাই ঘটেছে। পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কিন্ত লক্ষ্যনীয় যে, প্রয়োজনীয় ১৭২ ভোটের থেকে মাত্র দুটি বেশি ভোটে প্রস্তাব পাশ হলো যদিও গত কয়েক দিনে মনে হচ্ছিলো বিরোধীরা তাঁদের পক্ষে অনেক সমর্থন জোগাড় করতে পেরেছেন। এর আগে শনিবার রাতে ইমরান খান তাঁর মন্ত্রীসভার বৈঠক করেন, পার্লামেন্টের অধিবেশন একাধিকবার মুলতুবি করা হয়, মধ্যরাতে প্রধান বিচারপতি আদালত বসানোর উদ্যাগও নেন এবং দেশের রাজনীতির অন্যতম ক্রীড়নক সেনাবাহিনীর প্রধান ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

যদিও সন্ধ্যা থেকে কোনও কোনও গণমাধ্যমের খবরে সেনাবাহিনীর কথিত ‘ক্যু ব্রিগেড’ – সেনাবাহিনীর ১১১ ইনফেনট্রি ব্রিগেড – প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত হয়েছে জানিয়ে ইঙ্গিত ছিলো  যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল অত্যাসন্ন। কিন্ত এখন পর্যন্ত তা ঘটেনি। 
এই সরকারের মেয়াদ কতদিন সেটাও প্রশ্ন। সাংবিধানিকভাবে বিবেচনা করলে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পরবর্তী নির্বাচন হবার কথা। কিন্ত ততদিন নতুন সরকার টিকে থাকবে কীনা সেটা নিয়ে সংশয়ের কারণ আছে। ১৯৯৩ সালে আদালতের রায় নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে নাওয়াজ শরীফ তাঁর মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। এপ্রিল মাসে তাঁর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন প্রেসিডেন্ট গুলাম ইসহাক খান। আদালতের রায়ে নাওয়াজ শরীফ ক্ষমতায় ফেরেন মে মাসে।

কিন্ত ১৮ জুলাই তিনি ‘স্বেচ্ছায়’ পদত্যাগ করেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টকেও পদত্যাগ করতে হয়েছিলো। এর আগে দুই সপ্তাহ ধরে নাওয়াজ শরীফ, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বেনজির ভুট্টো এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা হয়েছিলো। এই আলোচনার পেছনের ক্রীড়নকদের অন্যতম ছিলো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাইরের শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের কারনেই পাঁচ মাসের রাজনৈতিক সংকটের সময়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেনি। ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে যে নির্বাচন অনুষ্টিত হয় তার ফলাফল স্মরণ করা দরকার -  আসনের দিক থেকে পিপলস পার্টি বেশি পেলেও, ভোট পেয়েছিলো নাওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগের চেয়ে কম। এখন যে নতুন সরকার আসবে তাঁদের পক্ষেও পুরো মেয়াদ শেষ করা সম্ভব হবে কীনা সেটাই  দেখার বিষয়। ইতিমধ্যে দেশে যদি সহিংসতা দেখা দেয় তবে অবস্থা নতুন দিকে মোড় নেবে। এসবই ইঙ্গিত দিচ্ছে সামনের দিনগুলোতে আমাদের চোখ পাকিস্তানেই নিবদ্ধ  থাকবে।
 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2