ভারতের উদয়পুরে হিন্দু দর্জিকে হত্যা: বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, বন্ধ ইন্টারনেট সেবা
ছবি: ডন
মহানবীকে অবমাননার প্রতিবাদে ভারতের রাজস্থানে হিন্দু এক দর্জিকে শিরোচ্ছেদের ঘটনায় মুসলিম দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সম্প্রদায়িক সহিংসতার শঙ্কায় উদয়পুর শহরে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি ছয় শতাধিক সদস্য।
এই ঘটনায় উদয়পুরে ইন্টারনেট সেবা সাময়িক বন্ধ করে আগামী এক মাস রাজস্থানে বড় সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (২৯ জুন) কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে জাতীয় তদন্ত সংস্থা-এনআইএ। এক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগসাজশ খতিয়ে দেখা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, জঙ্গি গোষ্ঠী-আইএসের সঙ্গে হত্যাকারীদের যোগাযোগ আছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ানোর শঙ্কায় পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। এক টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত উভয়কেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আমরা কঠোর শাস্তি এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করব।’
সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। এটি করা একটি ভয়ঙ্কর জিনিস। এটা অমানবিক।’
জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ এক টুইটার পোস্টে বলেছে, ‘‘উদয়পুরের ঘটনাটি ‘বর্বর’ এবং ইসলামে সহিংসতার বৈধতার কোন অবকাশ নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো নাগরিকের আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। আইনের জয় হোক।”
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকালে পোশাকের মাপ নেওয়ার সময় দর্জি কানাইয়া লালের শিরোচ্ছেদ করা হয়। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করে হত্যাকারীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও হত্যার হুমকি দেয় তারা। মহানবীকে অবমাননাকারী বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মাকে সমর্থন দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ায় কানাইয়া লালকে ১০ জুন গ্রেপ্তার হয়। ১৫ জুন জামিনে মুক্তি পায় সে। সূত্র: আলজাজিরা
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: