ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দাম নাচ ভাইরাল (ভিডিও)
সেলিব্রিটি বন্ধুদের সঙ্গে নাচছেন, গান করছেন, মেতে উঠেছেন বন্য পার্টিতে স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী। এমনই একটি ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হয়ে বিপাকে পড়েছেন ফিনল্যান্ডের তরুণী প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ৩৬ বছরের মারিন এর আগেও তাঁর উদ্দাম জীবনধারার জন্য আগে সমালোচিত হয়েছিলেন।
এক সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে ওই ভিডিওটি ফাঁস করা হয়েছে। ফুটেজটি ঠিক কবেকার তা স্পষ্ট নয়। তবে এই পার্টির ভিডিওর জন্য বর্তমানে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন মারিন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি অ্যাপার্টমেন্টে প্রধানমন্ত্রী মারিন, ফিনিশ গায়ক আলমা, র্যা পার পেট্রি নাইগার্ড, টিভি হোস্ট টাইনি উইকস্ট্রম-সহ বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং তাঁর নিজের দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যদের সঙ্গে উদ্দাম পার্টি করছেন। তবে এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁর বেহিসাবি জীবনযাপনের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন সানা মারিন।
গত বছর কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসা সত্ত্বেও, ভোর ৪টায় ক্লাবে ঘুরতে গিয়েছিলেন সানা মারিন। যার জেরে শেষ পর্যন্ত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিদেশ মন্ত্রীর কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছিল। তার কয়েক ঘন্টা পরই তিনি এক ডিনার এবং পানীয়ের পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি টিকার সম্পূর্ণ ডোজ় নিয়েছেন। তাই, তাঁর নিভৃতবাসের প্রয়োজন নেই। তবে, পরে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়ে তিনি জানান, তাঁকে বাইরে বের না হওয়ার বিযয়ে সতর্ক করে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, সেই সময় তাঁর সরকারি ফোন তাঁর সঙ্গে ছিল না। তাই সেই বার্তা তিনি দেখতে পাননি। সমালোচকরা অবশ্য বলেছিলেন, দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর, সরকারি ফোন তাঁর সবসময় সঙ্গে রাখা উচিত।
তার আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে, আবার পোশাক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই তরুণী রাজনীতিবিদ। লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ট্রেন্ডি’কে তিনি একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে তাঁর একটি ছবি ছাপা হয়েছিল। সেই ছবিতে তাঁর পরণে ছিল শুধুমাত্র একটি ব্লেজার। নীচে আর কোনও পোশাক ছিল না। ওই ছবিও জনমানসে বড়সড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে প্রদানমন্ত্রীর পদের অবমাননা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে, তাঁর সমর্থকরা বলেছিলেন, পোশাক নিয়ে মন্তব্য করাটা যৌনতাবাদী।
তবে এত সব বিতর্ক সত্ত্বেও, নতুন প্রজন্মের মধ্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বের সবথেকে কম বয়সী রাষ্ট্রনেতা তিনি। চলতি সপ্তাহেই জার্মান সংবাদপত্র ‘বিল্ড’ সানা মারিনকে বিশ্বের ‘কুলেস্ট’ রাজনীতিবিদ বলেছে।
তারা লিখেছে, “তিনি তাঁর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ। প্রতিবেশী রাশিয়ার যুদ্ধবাদী কার্যকলাপের কারণে, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংকটের মধ্যে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। তার মধ্য়েও তিনি জীবনকে উপভোগ করার উদযাপন করার সময় খুঁজে নেন। নৈমিত্তিক, আধুনিক এবং আত্মবিশ্বাসী – এটাই তাঁর রাজনীতির মূল কথা। মেরিন ‘কুল প্রজন্মের’ প্রতিনিধি, যা অবশ্যই পুতিনের পছন্দ নয়।”
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: