• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তাপমাত্রা বেড়ে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ১৬ ট্রিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালে পৌঁছাবে চরমে

প্রকাশিত: ২২:০৯, ২৭ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ২২:১০, ২৭ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
তাপমাত্রা বেড়ে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ১৬ ট্রিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালে পৌঁছাবে চরমে

প্রতীকী ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড়-বন্যায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের মতো নিচু দেশগুলো। প্রতিনিয়ত ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে উড়িয়ে নিচ্ছে উপকূলের মানুষের স্বপ্ন ও জীবন। আবার বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। যার মাধ্যমে বড় ধরণের ক্ষতি হচ্ছে একথা সবার জানা। 

কিন্তু সম্প্রতি করা এক গবেষণা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ঝড়-বন্যা নয় তাপমাত্রা বৃদ্ধিও চরম অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে পুরো বিশ্বের।  তাদের মতো ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী ১৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে কম আয়ের দেশগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা।

১৯৯২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাপ প্রবাহের পরিসংখ্যানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজের গবেষকরা। এতে দেখা গেছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানুষের স্বাস্থ্য ও কৃষিকাজের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যা অর্থনীতির ক্ষতি বয়ে আনছে।  তারা জানিয়েছেন, এই নেতিবাচক প্রভাবে ইতিমধ্যে বিশ্বে ১৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

ডার্টমাউথের ক্রিস্টোফার ক্যালাহান তাঁর গবেষণায় জানিয়েছেন, প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের দ্রুত অভিযোজন ক্ষমতাও বাড়ছে। সেই অভিযোজনের জন্য বা বৃদ্ধি তাপমাত্রার থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য খরচ বেড়েই চলেছে। এছাড়াও তাপমাত্রার বৃদ্ধির জেরে কৃষিকাজে ফলন ভালো হচ্ছে না। মূলবৃদ্ধি হচ্ছে। যার জেরে খরচ অনেকটা বাড়ছে। এই ধরনের খরচ হিসেব করলে তাপমাত্রার কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যায়ের পরিসংখ্যান ১৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের থেকে অনেকটা বেশি হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো 

ডার্টমাউথের অন্য এক গবেষক জাস্টি মানকিন বলেন, অনেকক্ষেত্রেই জলবায়ু পরিবর্তনে সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ মানিয়ে নিতে পারেন না। দেখা গিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র দেশগুলো। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময় আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। কমছে কৃষিজপণ্য উৎপাদনের হার জলবায়ু পরিবর্তনে সব থেকে প্রভাব পড়েছে কৃষিকাজের ওপর। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় ক্রমেই কমছে উৎপাদনের হার। টান পড়ছে সঞ্চিত খাদ্যপণ্যের ওপর। বাড়ছে মূল্য। ২০২২ সালের শেষ দিকে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে রাষ্ট্রসংঘ সতর্ক করেছে। যা ২০২৩ সালে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। কারণ হিসেবে একদিকে যেমন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ রয়েছে। অন্যদিকে তেমনি রয়েছে কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন হ্রাস।

বিভি/কেএস

মন্তব্য করুন: