• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ইমরান খানের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের তাণ্ডব

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৮ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ইমরান খানের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের তাণ্ডব

ছবি: টুইটার

তোষাখানা মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটক করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলো পুলিশ। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। এবার ইমরান খানের লাহোরের বাসভবনে হানা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) তোষাখানা মামলায় হাজিরা দিতে ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালতের উদ্দেশে নিজ বাড়ি জামান পার্ক থেকে বের হন ইমরান। এরপরই তার বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পিটিআই কর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে ইমরান খানের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ছেন পুলিশ সদস্যরা। পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফ (পিটিআই) পুলিশের হানা দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, তার বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা নেতা-কর্মীদের পেটাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট করেছেন ইমরান খান। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে, যখন বাড়িতে শুধুমাত্র বুশরা বিবি একা ছিলেন। কোন আইনের ভিত্তিতে তারা এটি করছে? এটি লন্ডন পরিকল্পনার অংশ। যার মাধ্যমে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পাওয়া উপহারগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোষাখানা থেকে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেছেন তিনি। তবে ইমরান এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে তোষাখানা মামলা করে।

আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ইসলামাবাদের দায়রা আদালত। কিন্তু শুক্রবার (১৭ মার্চ) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ১৮ মার্চ পর্যন্ত পরোয়ানা স্থগিত করেন।

ইমরানের দাবি বর্তমান সরকার তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়, যেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে না পারেন। শনিবার (১৮ মার্চ) লাহোর থেকে ইসলামাবাদের আদালতে যাওয়ার আগে ইমরান খান জানান, তিনি ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছেন। যদি তাকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে এ কমিটি সব সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে ৯৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: