যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে জাতিগত কোটা বাতিল, হতাশ ওবামা, খুশি ট্রাম্প
প্রধান বিচারপতি-সহ ছয়জন বিচারপতি যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতি ও বর্ণের ভিত্তিতে সংরক্ষণ বাতিলের পক্ষে ছিলেন। তিনজন বিপক্ষে ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের সিদ্ধান্ত হলো, এই সংরক্ষণ বিভেদ তৈরি করছে। বহুত্ববাদের নামে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্য সংখ্যালঘুদের এই সংরক্ষণ দেয়া উচিত নয়।
অ্যামেরিকার সবচেয়ে পুরনো কলেজ হার্ভার্ড ও সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে রায় দিয়ে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস বলেছেন, ''পড়ুয়াদের জাতি হিসাবে নয়, একজন মানুষ ও তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যাচাই করতে হবে।''
বাইডেন যা বললেন
বাইডেন বলেছেন, ''এই রায়ের ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংরক্ষণের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল। গত ৪৫ বছর ধরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এই বিষয়ে স্বাধীনতা ছিল। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যত বেশি জাতিগত বিভিন্নতা থাকবে, ততই সে শক্তিশালী হবে।''
বাইডেন বলেছেন, ''অ্যামেরিকায় এখনো বৈষম্য আছে। এই রায়ের ফলে তা শেষ হয়ে যাবে না। বহুত্ববাদ অ্যামেরিকার শক্তি। এই রায়কে আমরা শেষ কথা বলে এখানেই থেমে যেতে পারি না।''
দুই সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টুইট করে বলেছেন, ''প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যারা অ্যামেরিকার প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এই সংরক্ষণ তাদের সেই সুযোগ দিচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমাদের সেই চেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।''
আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, ''এটা অসাধারণ রায়। অ্যামেরিকার ইতিহাসে দিনটি বিশেষ দিন হিসাবে চিহ্নিত হবে।''
ট্রাম্পের সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা মাইক পেন্স বলেছেন, ''অ্যামেরিকায় জাতির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকতে পারে না।''
ডেমোক্র্যাট নেতারা বলেছেন, জাতিগত ন্যায়ের পথে এই রায় বিরাট একটা ধাক্কা।
মন্তব্য করুন: