সুস্থতার জন্য চাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি, উপায় আছে

প্রতিকী ছবি
শারিরীক ও মানসিক চাপে থাকেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। জীবনও কখনও সোজা পথে চলে না। চাপ, উদ্বেগ থাকেই। এ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু, সমস্যা বাড়তে থাকলেই বেশি মুশকিল। তখন শরীর, মনে তার প্রভাব পড়ে। সমস্যা ঘরের হোক কিংবা বাইরের, তাকে বশে রাখতে হবে। এটাই হল মূল কথা। তবে, এই চাপকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াই হোক নতুন বছরের প্রত্যয়। কিভাবে চাপ সামাল দেবেন, জেনে নিন কিছু উপায়।
১. খুশিতে থাকা: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যখন খুশিতে থাকে তখন চাপ-উদ্বেগ মাথাচারা দিতে পারে না। নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধূলা করতে পারলে খুব ভাল। অনেকেই প্রিয় গানের সঙ্গে কোমর দোলাতে ভালবাসেন। এগুলো অবশ্যই শারীরিক কসরত, কিন্তু তাতে মানসিক অবস্থাও ভাল থাকে।
২. মোবাইল ফোন থেকে দূরে: দিনের কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে কাটানো উচিত। ফোন পাশে থাকুক। যত খুশি নোটিফিকেশন আসুক, মাথা ঘামানোর দরকার নেই। এই সময়টা বই পড়া কিংবা বাইরে ঘোরাঘুরি করলে ভালো। অথবা, এই সময়টাতে বিশ্রামও নিতে পারেন।
৩. সমস্যার সমাধান: সমস্যা যতই ছোট হোক তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। সেটাই বড় আকার নিতে পারে। তখন উদ্বেগ বাড়বে। শুরুতেই সমস্যার বিনাশ করতে হবে। অর্থাৎ, সমাধান। যদি সমস্যা সামলানোর উপায় জানা না থাকে, তাহলে অন্যদের পরামর্শ নিতে হবে। সোজা কথা, সমস্যা দেখা দিলে তার সমাধান করতেই হবে।
৪. স্বাস্থ্যকর খাবার: ডায়েট মেনে চলতে হবে। শরীরকে দিতে হবে পুষ্টিকর শস্য, প্রোটিন, শাকসবজিসমৃদ্ধ সুষম আহার। এতে শুধু শরীর ভাল থাকে তাই নয়, মেজাজও ফুরফুরে থাকে। উদ্বেগ কেটে যায়।
৫. বিশ্রাম: শুধু পরিশ্রম নয় সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রামও প্রয়োজন। তবেই শরীর চাঙ্গা থাকবে। আর শরীর তরতাজা থাকলে মেজাজও ঠিক থাকবে। যারা সবসময় লক্ষ্যের পিছনে দৌড়ান, তাদের এটা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু, ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
৬. গভীর শ্বাস: খুব টেনশন হচ্ছে, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে; এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে লম্বা শ্বাস নিতে হয়। এতে মন থাকবে শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর। তাহলেই চাপ ধীরে ধীরে কেটে যাবে। নিজেকে বশে রাখার এটা খুব কার্যকর পদ্ধতি।
৭. শখ পূরণ করুন: শখের জন্য কিছুটা সময় বের করা উচিত। এতে মন অন্য দিকে থাকবে, চাপও কেটে যাবে। এর জন্য খুব বেশি সময় বের করার দরকার নেই। সারাদিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিটই যথেষ্ট।
৮. আলাপ-আলোচনা: মনে যে কারণে উদ্বেগ বাসা বেঁধেছে, তা নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বললেও চাপ অনেকটা কেটে যায়। সেটা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন বা চিকিৎসক কিংবা থেরাপিস্ট যে কেউ হতে পারে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: