• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১১ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দীর্ঘ তেরো বছরেও শেষ হয়নি ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২১ আগস্ট ২০১৭

আপডেট: ০৫:০১, ২১ আগস্ট ২০১৭

ফন্ট সাইজ
দীর্ঘ তেরো বছরেও শেষ হয়নি ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার

দীর্ঘ তেরো বছরেও শেষ হয়নি ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসভায় সেই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান শেখ হাসিনা। মারা যান আইভী রহমানসহ ২৪জন। আহত শতাধিক। যাদের অনেকের জীবন এখনো দুর্বিসহ। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতেই বিচারে দেরি হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী বলছেন, দীর্ঘসূত্রিতার কারণ ন্যায়বিচার নয়, রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ প্রমানে ব্যর্থতার ফল। ২১শে আগষ্ট ২০০৪, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪জন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আহত হন শতাধিক। ঘটনার পরদিন আসামী অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা হয় মতিঝিল থানায়। সাজানো হয়েছিলো জজ মিয়া নাটক। তদন্তে বেরিয়ে আসে হামলায় পাকিস্তান থেকে আনা নয়টি আর জে এস গ্রেনেড ছোঁড়ার তথ্য। ২০০৯ সালের তিন আগষ্ট মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় আদালত। সম্পূরক অভিযোগপত্রে বিএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আসামী করা হয়। এছাড়া তৎকালিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক তিন আইজিপি শহুদুল হক, আশরাফুল হুদা, খোদাবক্স চৌধুরীসহ আসামীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২জন। আসামীদের মধ্যে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি হয় অন্য মামলায়। বাকিদের মধ্যে বন্দি ১৯জন। জামিনে আটজন। আর ১৮জন পলাতক । সাক্ষ্য গ্রহনের পর এখন চলছে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, সময়ের চেয়ে ন্যায়বিচারই তাদের মূল উদ্দেশ্য। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, গ্রেনেড হামলায় আহত অনেকেই এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ক্ষত। শরীরে আঘাতের ক্ষত হয়তো কোনদিন মুছবে না, কিন্তু দায়িদের সর্বোচ্চ শাস্তি হলে মনের ক্ষত কিছুটা হলেও কমে আসতো ভুক্তভোগীদের।

মন্তব্য করুন: