• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসবে হাবিবুল আউয়াল কমিশন

প্রকাশিত: ১৯:১০, ৭ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসবে হাবিবুল আউয়াল কমিশন

বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই সংলাপ শুরু হতে পারে। এই জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

ইসি সূত্র জানায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচন ভবনে অফিস শুরু করে হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ওইদিন বিকেলে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে নতুন কমিশন। 

১ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসে অংশগ্রহণ এবং ৬ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌদে শ্রদ্ধা জানায় কমিশন। এখন নতুন কমিশন আস্তে আস্তে নিজেদের কাজে মন দিচ্ছে বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, আগামী ১৩ মার্চ সুশীল সমাজ বা শিক্ষাবিদদের প্রতিনিধি নিয়ে এই সংলাপ শুরু হতে পারে। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই সংলাপ পর্ব।  

সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, এই বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ট্রেডিশনালি বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেন। ২০০৮ সালে ইসির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা এটিএম শামছুল হুদা কমিশন মেয়াদকালে দুইবার সংলাপে বসেছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া কাজী রকিবুদ্দীন আহমেদ কমিনের সময়ও সংলাপ হয়েছিল। তবে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মতো দায়িত্ব নিয়েই সংলাপে বসেনি কোনো কমিশন।
 
সদ্য বিদায়ী কেএম নূরুল হুদা কমিশন দায়িত্ব নিয়েছিল ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি। এরপর কর্মপরিকল্প ঠিক করে ওই কমিশন ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংলাম শুরু করে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ২৪ অক্টোবর সংলাপের মাধ্যমে এই পর্ব শেষ করে বিদায়ী কমিশন। ওই সংলাপে  ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষণ সংস্থা, নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সাথে সংলাপ করা হয়। সংলাপ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পাঁচ শতাধিক সুপারিশ আসে। সেখানে পাওয়া সুপারিশগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে (সংবিধান সংশ্লিষ্ট, আইন প্রণয়ন বিষয়ক ও নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার) সাজায় কমিশন। 

সংলাপে আলোচনার সুবিধার্থে কার্যপত্রে যে ৯টি আলোচ্যসূচি অন্তর্ভূক্ত করেছিল কেএম নূরুল হুদা কমিশন। 

সেই সংলাপে কিছুটা আশ্বস্ত হলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পর বিএনপিসহ সমমনা বেশকিছু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কেএম নূরুল হুদা কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন বর্জন করে। 

দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এজ এ হোল, আমরা তাদের সহায়তা করবো। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা না করে, পলিটিক্যাল লিডারশিপে যদি নূন্যতম সমঝোতা না থাকে, আমি তো তাদের মুরব্বী হতে পারবো না। উনারা আমাদের থেকে অনেক বেশি জ্ঞানী, অভিজ্ঞ। আমরা তাদের কাছে অনুনয়-বিনয় করবো আপনারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করেন, একটা চুক্তিবদ্ধ হন যে- আপনারা সুন্দরভাবে নির্বাচনটা করবেন। ওখানে সহিংসতা হবে না, কেউ কাউকে বাধা দেবে না।

সিইসি বলেন, আমরা সততা নিষ্ঠার সাথে নির্বাচন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবো। আমরা কতোটা সৎ ছিলাম, দায়িত্ব পালন করেছি সেটি পরে মূল্যায়ন করতে পারবেন। আমরা প্রত্যাশা করি সকলে নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবেন। যারা নির্বাচন করবেন তাদের জন্য অনূকুল পরিবেশ তৈরী করার দায়িত্ব কমিশনের রয়েছে। কর্মপদ্ধতি কি হবে সেটি ঠিক করিনি। সাংবিধানিক শপথ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি।

বিএনপিকে আস্থায় আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করব। বিএনপি যদি ঘোষণা দিয়েও থাকে, তাদের কি আহ্বান জানাতে পারবো না? কোন কিছুই শেষ নয়। আমরা তো তাদের চা খেতে আমন্ত্রণ জানাতেই পারি। 

এরপর ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে সিইসি বলেন, মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, রক্ষা করবো ভোটাধিকার। এটা কিন্তু বুলি নয়, কমিশন  এটা অঙ্গিকার করে ফেলেছে। কোনো অঙ্গিকার করতে নাই। আর যদি কোনো অঙ্গিকার করতে হয়, তাহলে আগে সেটি হৃদয়ে ধারণ করতে হবে, পালন করতে হবে। তা না হলে কিন্তু আমরা মিথ্যাচার করবো। চেষ্টা অন্তত করতে হবে, সফল নাও হতে পারি। কিন্তু গণমানুষের যে ভোটাধিকার, সেটি বাস্তবায়নে আমাদের উপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। সেটি আমাদের পালন করতে হবে।
 

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: