ডলারের বিপরীতে আরও শক্তিশালী হলো আফগান মুদ্রা

ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে আফগানিস্তানের মুদ্রার মান। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘দা আফগানিস্তান ব্যাংক’ জানিয়েছে, গত এক বছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে আফগানি মুদ্রার মান ০.৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান ১ ডলার সমান বাংলাদেশি মুদ্রা ১২২ টাকা। আর আফগান মুদ্রায় ৬৯ আফগানি।
গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সরকারের তথ্য ও গণমাধ্যম কেন্দ্র আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ব্যাংকের প্রথম সহকারী প্রধান সিদ্দীকুল্লাহ খালিদ। তিনি ব্যাংকের এক বছরের কর্মকাণ্ড ও সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে আফগানি মুদ্রার মান ০.৭৯ শতাংশ বেড়েছে। একইসঙ্গে ৪৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ২ হাজার আফগানি মূল্যমানের পুরোনো নোট ধ্বংস করা হয়েছে এবং এর বিপরীতে বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে ৪১৫১ কোটি আফগানি মূল্যমানের নতুন নোট।
সিদ্দীকুল্লাহ খালিদ আরও জানান, বৈদ্যুতিক লেনদেনের মোট পরিমাণ ২৫৪২ কোটি আফগানিতে পৌঁছেছে, যা ১৪৪৫ হিজরি সনের তুলনায় ৮৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক লেনদেনসংক্রান্ত ৯ হাজারের বেশি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকের ভারসাম্যপূর্ণ ও যুক্তিসম্মত আর্থিক নীতিমালার কারণে আফগানির মান স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট অর্থের পরিমাণ ৪৬,০৩৫ কোটি এবং বাজারে চলমান অর্থের পরিমাণ ৩৮,৮০৩ কোটি আফগানি, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সফল নগদ ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন।
তিনি জানান, চলতি বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে আফগানিস্তান ব্যাংক। ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলনের সীমা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে, আফগানি হিসাব থেকে সাপ্তাহিক ৩.৫ লাখ ও মাসিক ১০ লাখ এবং ডলারি হিসাব থেকে সাপ্তাহিক ৫ হাজার ও মাসিক ১৫ হাজার ডলার উত্তোলনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
এছাড়া তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমে ৭১ শতাংশ বৃদ্ধি এসেছে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেনের সমস্যাগুলো অনেকটাই কমে এসেছে। মানি এক্সচেঞ্জার ও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে তাদের কার্যক্রমকে সিস্টেমেটিক ও মেকানাইজড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৪৪৬ হিজরি সনের শেষ নাগাদ লাইসেন্সপ্রাপ্ত মানি এক্সচেঞ্জ ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩১২টি এবং তাদের নিবন্ধিত শাখার সংখ্যা ১২৪১টিতে পৌঁছেছে।
এইভাবে দা আফগানিস্তান ব্যাংক দেশের আর্থিক ব্যবস্থার কাঠামোকে শক্তিশালী করতে পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এছাড়া মুদ্রানীতি, বৈদ্যুতিক লেনদেন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় নানা খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে বলেও জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সোর্স: আরটিএ
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: