• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ঝুলে আছে প্রায় ৩ লাখ এনআইডি সংশোধনের আবেদন

প্রকাশিত: ২০:৩১, ৪ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ২২:৫৩, ৪ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঝুলে আছে প্রায় ৩ লাখ এনআইডি সংশোধনের আবেদন

বর্তমানে সারাদেশে অনলাইনে প্রায় ৩ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুলে আছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক মাসিক সমন্বয় সভায় এই তথ্য জানানো হয়। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সমন্বয় সভাটি অনুষ্ঠিত। 

ওই সভায় জানানো হয়, ‘ক’ ক্যাটগরিতে ৮৪ হাজার ৫৩৯টি, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে ৮১ হাজার ১৮৫টি, ‘গ’ ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৮টি। ‘ঘ’ ক্যাটাগরিতে কোনো আবেদন পেন্ডিং আছে কিনা তা সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ২ লাখ ৯৩ হাজার ২৯২টি আবেদন পেন্ডিং রয়েছে বলে সভার নথি থেকে জানা যায়। 

এনআইডি সমস্যার বিষয়ে সোমবার (৪ এপ্রিল) কর্মকর্তাদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিক সভা করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বাংলাভিশনকে বলেন, আমরা বলেছি যাতে মানুষের হয়রানি না হয়, যাতে আইন, বিধি-বিধান সবকিছু ঠিক রেখে যাতে এগুলো করা যায়। আমাদের এনআইডি বিভাগে যারা আছেন, তাদেরকে বলেছি যে, আইন, বিধি-বিধান অনুযায়ী মানুষকে কিভাবে এনআইডি সেবা দেওয়া যায়, মাননীয় কমিশন সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।

সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উদ্ভুত সমস্যাসমূহ নিরসনের উপায় নির্ধারণ শীর্ষক কর্মশালায় অংশ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন অপরিসীম উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ভুল বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কারেকশনের ক্ষেত্রে কিন্তু চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে তা নয়। আমাদের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে হবে। কিন্তু মানুষ যেনো হয়রানির শিকার না হয়। 

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক অভিযোগ আছে। কোন অভিযোগ সঠিক, আবার কোন অভিযোগ মিথ্যা। কিছু কিছু মানুষের জন্য আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা যদি দক্ষতা এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে পুরো নির্বাচন কমিশনকে সেই বদনামের দায়ভার নিতে হবে। এই বিষয়টি নজরে রাখতে হবে।  

এরআগের এক সমন্বয় সভায় আইডিয়া-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছিলেন, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার জন্য প্রায় ১১ লাখ নতুন আবেদন অনলাইনে পেন্ডিং রয়েছে। যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তখন ফরিদপুর ও খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান যে, অনেকেই অনলাইনে আবেদন করার পর প্রিন্ট কপি নিয়ে অফিসে উপস্থিত হচ্ছে না। আবার অনেকে অনলাইনে আবেদন করলেও স্বশরীরের অফিসে এসে ভোটার হচ্ছে। ফলে ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

সভায় সিস্টেম ম্যানেজার (কারিগরি) জানান, অনলাইনে আবেদনের পর উপজেলা নির্বাচন অফিসার (রেজিস্ট্রেশন অফিসার) কর্তৃক অনুমোদিত হলে আবেদনকৃত ব্যক্তি কর্তৃক দেওয়া মোবাইল নম্বরে ভোটার হওয়ার জন্য দিন ও তারিখ সম্বলিত মেসেজ পেয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি স্বশরীরে উপস্থিত না হলে ভোটার করা সম্ভব নয়। 

এই বিষয়ে সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর জানান, আবেদনকৃত ব্যক্তির দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করে অবগত করার পরেও স্বশরীরে উপস্থিত না হলে তার আবেদন বাতিল করা যেতে পারে। 

মাঠপর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন কার্যক্রমে অসন্তোষ জানিয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তাকে এই কার্যক্রম সম্পর্কে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এনআইডি মহাপরিচালক।

ইসি সূত্র জানায়, ২০০৭-২০০৮ সালের ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে এনআইডি সেবা ফ্রি ছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই সেবায় ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। 

সর্বশেষ গত ২ মার্চ ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: