• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বিদেশে নাগরিকত্ব নেওয়াদের ভোটার করার ক্ষেত্রে ইসির যা সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ৫ মে ২০২২

আপডেট: ১৩:৪৫, ৬ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিদেশে নাগরিকত্ব নেওয়াদের ভোটার করার ক্ষেত্রে ইসির যা সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগৃহীত।

নানান সময়ে অন্যান্য দেশে নাগরিকত্ব থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ভোটার হতে গেলে ভোগান্তিতে পরতে হয়। যাতে তারা  ভোটার তালিকায় ভোগান্তি ছাড়া সহজেই অন্তর্ভূক্ত হতে বা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেতে পারেন তার জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে কী লাগবে না, তার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

মাঠপর্যায়ে পাঠানো এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, The Bangladesh Citizenship (Temporary provisions) Order, 1972 (P.0, No. 149 of 1972)-এর Article 2B (2)-তে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সময়ে সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত এস.আর.ও অথবা পরিপত্রের আলোকে যুক্তরাজ্য, উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা), নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশের নাগরিককেও বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো। 

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের নাগরিকরা এসব দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য শপথ বাক্যে  যদি বাংলাদেশের আনুগত্য প্রত্যাহারের শপথ না করে থাকেন। তা হলে তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বহাল থাকবে; এবং এসব দেশে নাগরিকত্বগ্রহণকারী নাগরিককে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। 

নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে- নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। 

উল্লেখ্য The Bangladesh Citizenship (Temporary provisions) Order, 1978 এর Rule 4 এর sub-rule (1A) অনুযায়ী- বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করতে হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর বাংলাভিশনকে বলেন, এই বিষয়ে সুরক্ষা বিভাগের একটি সার্কুলার আছে। যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিহার করেননি, ভোটার হওয়ার জন্য তাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না। 

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছাড়েনি এটা কিভাবে বুঝা যাবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে ভোটারকে জিজ্ঞেস করতে হবে।  সে যদি হলফনামা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তিনি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেননি। যদি তারপরেও সন্দেহ হয়, তাহলে নিশ্চত হওয়ার জন্য সুরক্ষা বিভাগে মতামত চাওয়া হবে। 

আর যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, তাদেরকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে আসতে হবে যোগ করেন তিনি।   

এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে এবং তাঁরা যেন কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম হাতে নেয় ইসি। সেই সময় ৯ কোটি ভোটারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। ইসির সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী ভোটার এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: