• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ঋণ-বিল খেলাপীদের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ চায় ইসি

প্রকাশিত: ২২:২৭, ১ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঋণ-বিল খেলাপীদের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ চায় ইসি

ঋণ ও বিল খেলাপীদের বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই জন্য ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ডেকেছে কমিশন। আগামী ৬ জুন (সোমবার) সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে খেলাপীর বিষয়ে এদের পরামর্শ নিতে বসবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি’র আইন সংস্কার কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বাংলাভিশনকে বলেন, ৬ জুন আমাদের একটি মিটিং আছে। ঋণখেলাপীর উপরেই মিটিংটি হবে। মিটিংয়ের পর বিস্তারিত জানতে  পারবেন। 

তিনি বলেন, আমরা একটু সংস্কার করতে চাচ্ছি। যেটি বিদ্যমান আছে, আমাদের কাছে মনে হয়েছে সেটি যথাযথ হয়নি। তাই এটিতে একটু পরিবর্তন আনা দরকার। আগে খেলাপী যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সেটি সংস্কার করা দরকার। এই জন্য যারা এগুলো নিয়ে কাজ করতে তাদেরকে নিয়ে বসা। সবার মতামত নিয়ে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠাবো। তবে আমরা মনে করি যে ওইখানে একটু হাত দেওয়া দরকার আছে। 

গত কমিশন মন্ত্রণালয়ে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিল। বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, সেটি গিয়েছিল। আমরা যেহেতু নতুন কমিশন আসছি, আমাদের কাছে সেটি ফেরত পাঠিয়েছে। আমরা সেই বিষয়গুলোসহ আরপিওতে কিছু সংশোধনের জায়গা আছে। সেইগুলোসহ একবারে পাঠাবো। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বাংলাভিশনকে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে বসা হবে। সংশোধন করতে চাই তা না, তাদের কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব আসে কিনা সেটির জন্য বসা। দেখা গেছে যে, কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অনেকে পার পেয়ে যায়, আবার পাঁচ হাজার টাকার জন্য কেউ কেউ ধরা খেয়ে যায়। এই বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পরামর্শ আসবে আর কি। 

মিটিংয়ে আপনারা কোনো প্রস্তাবনা রাখবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন থেকে সেটি রাখতে পারে হয়তো, বড়গুলোতে কিভাবে রাখা যায়, ছোটগুলোতে কিভাবে রাখা যায়। বাস্তবে তো ধরা পড়ে ছোটগুলো, বড়গুলোতো ধরা পড়ে না। ছোটগুলো এক হাজার টাকার একটি বিলের কারণে সে ধরা পড়ে যাচ্ছে। সে জানেই এই রকম একটা বিষয়।    

এরআগে ৩১ অক্টোবর বিগত কমিশন ঋণ ও বিল খেলাপিদের ক্ষেত্রে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এই বিষয়ে কথা হলে তখন ইসি’র আইন সংস্কার কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বাংলাভিশনকে জানিয়েছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় বড় ঋণ খেলাপীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাতদিন পূর্বে ক্ষুদ্র ঋণ ও বিল পরিশোধের বিধান রয়েছে। এই জন্য সবাইকে সমান সুযোগ দিতে সংশোধিত আরপিওতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত ঋণ ও বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আরপিওতে আমুল পরিবর্তন করা হয়নি। ছোট ছোট ঋণ খেলাপীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন পূর্বে পরিশোধ করার পরির্বতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পূর্বের দিন যেন তারা ঋণ পরিশোধের সুযোগ পায়, আমরা সেই প্রস্তাবনা দিয়েছি।

কমিশন কেন এমন প্রস্তাবনা দিচ্ছে? জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, যেহেতু বড় ঋণ খেলাপিদের আগেই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই সবাইকে সমান সুযোগ দিতেই এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। 
 
এছাড়াও সেই সময়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রিয়সহ সব ধরণের কমিটিতে ২০২০-এর মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার কথা ছিলো। সেটির সময় বাড়িয়ে ২০৩০ পর্যন্ত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। 

সূত্র জানায়, বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোনো কোম্পানীর পরিচালক বা ফার্মের অংশীদারের ক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক থেকে নেওয়া বড় ধরণের ঋণ বা তার কিস্তি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পরিশোধ করার বিধান রয়েছে। কৃষি ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ঋণ এবং ব্যক্তিগত (টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, বা সরকারের সেবা দেওয়া কোনো সংস্থার) বিলের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাতদিন আগে পরিশোধের বিধান রয়েছে। তাই বড় ধরণের ঋণ এবং ক্ষুদ্র ঋণ ও বিল পরিশোধের জন্য অভিন্ন সময়সীমা রাখার জন্য আরপিওতে প্রস্তাব করেছিল বিগত কমিশন। সেটি আরো ভালোভাবে কি করে করা যায়, সেই জন্যই সবার পরামর্শ চায় বর্তমান কমিশন।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: