• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

১৪৪০ সিসি ক্যামেরায় বুধবারের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি

প্রকাশিত: ১৯:১২, ১৪ জুন ২০২২

আপডেট: ১৯:২৭, ১৪ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
১৪৪০ সিসি ক্যামেরায় বুধবারের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি

ছবি: সংগৃহীত।

বুধবার (১৫ জুন) কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক), পাঁচটি (গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, সিলেটের বিয়ানীবাজার এবং মেহেরপুরের মেহেরপুর পৌরসভা) পৌরসভা ও ১৩২টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে কুসিক ও পাঁচ পৌরসভার ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ১ হাজার ৪৪০টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। 

ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে এসব নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্বাচনী মালামাল সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌঁছে গেছে। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।  

কুসিক ও পাঁচ পৌরসভায় ১৪৪০টি সিসি ক্যামেরা:

ইসির আইডিয়া প্রকল্প-২ এর ডিপিডি কমিউনিকেশন অফিসার স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচটি পৌরসভায় রয়েছে ৫৯০টি সিসি ক্যামেরা। কুসিক ও পাঁচ পৌরসভায় মোট ১ হাজার ৪৪০টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করছে কমিশন। 

ইসি জানায়, কুমিল্লা সিটি, পাঁচটি পৌরসভা ও ১২৫টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর সাতটি ইউপিতে প্রচলিত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া একই দিনে বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার ৯ নং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন; একটি উপজেলা পরিষদে সাধারণ ও তিনটিতে বিভিন্ন শূন্য পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, এই ধাপের ইউপি ভোটে দুইজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে।

প্রচারণা শেষ:
এসব নির্বাচনে ইতোমধ্যে সোমবার (১৩ জুন) দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হয়েছে। এখন আর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা:
এসব নির্বাচনে যান চলাচলে নিষেজ্ঞায় জানানো হয়, ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ১৪ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৫ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, পিক আপ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া ১৩ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

এই নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কিছু জরুরি কাজ যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলি যোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
 
এছাড়া জাতীয় মহাসড়কে, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

সাধারণ ছুটি থাকছে না:
বুধবারের নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করে নির্বাচনী একালায় যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার বা নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাধীন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল অফিস/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটরদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে। 

একজনের কুসিক ভোট:

সাধারণ ওয়ার্ড: ২৭টি; সংরক্ষিত ওয়ার্ড: ৯টি; ভোটকেন্দ্র: ১০৫টি; ভোটকক্ষ: ৬৪০টি; মোট ভোটার: ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার, ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ ভোটার এবং দু'জন 'হিজড়া' ভোটার রয়েছেন।

কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।

এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৩৬ থাকলেও দুইজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ২৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন ভোটের মাঠে রয়েছেন। সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দু'জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিভি/এইচকে/এনএ

মন্তব্য করুন: