• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নতুন দল নিবন্ধনে একমাসেও সাড়া নেই

প্রকাশিত: ০০:১৬, ২৬ জুন ২০২২

আপডেট: ০০:১৭, ২৬ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
নতুন দল নিবন্ধনে একমাসেও সাড়া নেই

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিতে ইচ্ছুকদের আবেদন করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন দলের নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করার একমাস হলেও এখন পর্যন্ত কেউ এই বিষয়ে ইসিতে আবেদন করেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। 

গত ২৬ মে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত নতুন দলের নিবন্ধন আহ্বান সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ইসিতে এই আবেদন করা যাবে। 

নতুন দলের নিবন্ধন সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসির যুগ্ম-সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বাংলাভিশনকে বলেন, এখন পর্যন্ত নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য কেউ আবেদন করেনি। 

ইসি সূত্র জানায়, এখনো পর্যন্ত কোনো দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন না করলেও অনেকেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। কমিশন থেকেও তাদেরকে সঠিকভাবে ফরম পূর্ণসহ ইসির দেওয়া শর্তাদি পূরণ করে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর মে মাসের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। 

নতুন দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০ক এর অধীন নিবন্ধন করতে ইচ্ছুক এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮-এ উল্লিখিত শর্তাবলী পূরণে সক্ষম রাজনৈতিক দলসমূহকে বিধিমালায় সংযোজিত ফরম-১ নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত নির্দেশিকা মোতাবেক পূরণপূর্বক আগামী ২৯ আগস্ট, ২০২২ তারিখের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আহবান জানানো যাচ্ছে। নিবন্ধীকরণে আগ্রহী রাজনৈতিক দলকে স্বীয় লেটারহেড প্যাডে দরখাস্ত করতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে যা জমা দিতে হবে-
(ক) দলের গঠনতন্ত্র;
(খ) দলের নির্বাচনি ইশতেহার, যদি থাকে;
(গ) দলের বিধিমালা, যদি থাকে;
(ঘ) দলের লোগো এবং পতাকার ছবি;
(ঙ) দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বা সমমানের কমিটির সকল সদস্যের পদবীসহ নামের তালিকা;
(চ) দলের নামে রক্ষিত ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম এবং উক্ত একাউন্টের সর্বশেষ স্থিতি;
(ছ) দলের তহবিলের উৎসের বিবরণ;
(জ) দলের নিবন্ধনের দরখাস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুকূলে প্রদত্ত ক্ষমতাপত্র;
(ঝ) নিবন্ধ ফি বাবদ সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বরাবরে জমাকৃত অফেরতযোগ্য টাকার ট্রেজারী চালানের কপি (ট্রেজারীতে টাকা জমাদানের কোড নম্বর-১০৬০১০১১০০১২৫-১১০০০০০০০-১১০০১০০০-১৪২২২০৪);
(ঞ) দরখাস্ত দাখিলে দিন পর্যন্ত-
(অ) বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর হতে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোন একটিতে দলীয় নির্বাচনি প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসন লাভের সমর্থনে প্রামাণিক দলিল; অথবা
(আ) বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর হতে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোন একটিতে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত নির্বাচনি এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোট সংখ্যার শতকরা পাঁচ ভাগ ভোট লাভের সমর্থনে কমিশন বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র; অথবা
(ই) দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ, উহা যে নামেই অভিহিত হোন না কেন, একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর অন্যূন এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দপ্তর এবং অন্যূন একশতটি উপজেলা বা, ক্ষেত্রমতে, মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দপ্তর এবং প্রতি উপজেলায় বা, ক্ষেত্রমত, থানায় অন্যূন দুইশত ভোটার সদস্য হিসাবে দলের তালিকাভুক্ত থাকার সমর্থনে প্রামাণিক দলিল।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ওই দলের অনুকূলে কমিশন ফরম-৩ এ একটি নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করবে এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি। প্রথম বছরে ১১৭টি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। ২০০৮ সাল থেকেই থেকে নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল তার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এখন পর্যন্ত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এরমধ্যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়েছে। বর্তমানে ইসির নিবন্ধনে ৩৯টি দল রয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কমিশন। সে বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন দল ইসিতে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ পায়। তখন ৭৬টি দল ইসির নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও কোনো দলকেই নিবন্ধন দেয়নি কেএম নূরুল হুদা কমিশন। যদিও পরবর্তীতে আদালতের আদেশে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম (সিংহ) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) নিবন্ধন দেয় ইসি।

সূত্র জানায়, এরআগে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ৪৩টি দল নিবন্ধনের আবেদন করেছিল। তার মধ্য থেকে ৪১টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এই দুইটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছিল কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন।

নিবন্ধিত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে:

ফ্রিডম পার্টি; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী; ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন; জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা); প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি)

বর্তমানে ইসির নিবন্ধনে থাকা ৩৯ দল হলো:

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি - এলডিপি; জাতীয় পার্টি - জেপি; বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল); কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ; বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বি.এন.পি; গণতন্ত্রী পার্টি; বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি; বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি; বিকল্পধারা বাংলাদেশ; জাতীয় পার্টি; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি; জাকের পার্টি; বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ; বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি; বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন; বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন; বাংলাদেশ মুসলিম লীগ; ন্যাশনাল পিপলস্‌ পার্টি (এনপিপি); জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ; গণফোরাম; গণফ্রন্ট; বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ; বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি; ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ; বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি; ইসলামী ঐক্যজোট; বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ; বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট; বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি; খেলাফত মজলিস; বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল; বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট); বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ; জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম; ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: