• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আরপিও সংশোধন: প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে চায় ইসি

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ২০ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
আরপিও সংশোধন: প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে চায় ইসি

দায়িত্বে অবহেলা করলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২০ জুলাই) বিকেলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। 

জানা যায়, সভার একমাত্র এজেন্ডা ছিল আরপিও সংশোধন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতা সভায় চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভায় যে ১১টি ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হলো- ৬, ৭, ১২, ১৫, ২৫, ৩১, ৩৬, ৪৪, ৮৪, ৯০ও ৯১। এসব ধারার কিছু ধারা-উপধারায় সংযোজন-বিয়োজনের শর্তে এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর বেশিরভাগই বিদ্যমান আরপিও’র করণিক ত্রুটিজনিত।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বাংলাভিশনকে বলেন, আরপিও সংশোধনে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। 

জানা যায়, সংশোধিত আরপিও এর খসড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের পরও ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা করা রোধে বর্তমান কমিশন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনতে চায়। কারণ প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত বা চালুর নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কেউ অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন তা উল্লেখ করা হয়েছে। আর ব্যর্থতায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সর্বোচ্চ ৫ বছরের সাজা এবং প্রভাব বিস্তাকারীদের সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। তবে তাদের কারও সাজা এক বছরের কম হবে না।

ভোটগ্রহণের কোনো অবস্থায় কেউ বা কারা যদি ভোটকেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদেরকে গ্রেফতার বা সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হলে নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে আসবেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তা অবহিত করবেন। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জানাবেন এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ি প্রয়োজনে নতুন করে ভোট নেবেন। খসড়ায়, এসব পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং প্রভাব বিস্তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; এছাড়া ভোট গণনার বিবরনী ও ব্যালট পেপারের হিসাব প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও এজেন্টদের দেওয়া বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিও খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।

আরও জানা যায়, আরপিওতে বড় ঋণ খেলাপিদের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিল খেলাপি (বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস, পানি বা সরকারের সেবা প্রদানকারী কোন সংস্থার) এবং কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণখেলাপিদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন খেলাপি বিল ও ঋণ পরিশোধ করেই প্রার্থী হওয়া যাবে। বর্তমানে বিল খেলাপীদের কমপক্ষে সাতদিন আগে এসব বিল পরিশোধের বিধান রয়েছে। এছাড়া প্রার্থীদের আয়কর সনদ জমা দেওয়া, রাজনৈদিক দলের প্রতিটি কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভূক্তির সময়সীমা ১০ বছর বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।  

সূত্র আরো জানায়, খসড়ায় কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে। কারণ সভাশেষে সিইসি নিজে কিছু সংশোধনের কাজ করেছেন। 

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: