• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

সাময়িক বরখাস্ত হলেন এডিসি হারুন, পাবেন খোরপোষ ভাতা

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৮:০০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সাময়িক বরখাস্ত হলেন এডিসি হারুন, পাবেন খোরপোষ ভাতা

ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হলেন এডিসি হারুন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিপিএএ স্বাক্ষরিত জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হারুন-অর-রশীদ, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা-কে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম হতে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। সেহেতু সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক আজ থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।

এরআগে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে পুলিশ ডিপার্টমেন্টেও ক্ষোভ রয়েছে। তার বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে। হারুনের মতো আরো বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। দুপুরে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা আড়াই ঘন্টা বৈঠক করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

বৈঠকে সাদ্দাম-ইনান ডিএমপি কমিশনারকে জানান, হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলির আদেশ ছাত্রলীগের পছন্দ হয়নি। তৃণমূলে হারুনকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তারা চান না পুলিশ বাহিনীর সাথে ছাত্রলীগের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে। ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি প্রকাশ্যে আসা জরুরি। নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি হতে হবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে- হারুনের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে। শুধু হারুন নয়, নির্যাতনের সাথে যারা যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

এডিসি হারুনের এমন অপকর্ম এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ৩১তম ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সহকর্মীকে প্রকাশ্যে থাপ্পড়, সাংবাদিক নির্যাতন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বৃদ্ধির আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং দোকানদারকে পেটানোর অভিযোগ আছে।

গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশ সদস্যদের রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এডিসি হারুন। এসময় ‘গুলি শেষ হয়ে গেছে’ বলায় একজন পুলিশ কনস্টেবলকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারেন তিনি।  

শুধু নিজের সহকর্মীকেই নয়- এডিসি হারুন তার নেতৃত্বে শাহবাগে সমাবেশকারীদের পেটানোর ঘটনা, এমনকি তিনি নিজেই লাঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের পেটাচ্ছেন- এমন ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। তবে বারবার এসব ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বা পুলিশ সদর দফতর থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল ছিলেন তিনি।

গত ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামি আবদুল্লাহ। তখন তার মাথায় ১৪টি সেলাই। এই শিক্ষার্থী জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগে একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেদিন ‘শান্তিপূর্ণ’ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে তিনিসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। সেদিনের ঘটনায় নেতৃত্বে দেন এডিসি হারুন অর রশীদ। তার সম্পর্কে এ ধরনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের মন্তব্য হলো ‘তিনি (এডিসি হারুন) শুধু পেটান।’

ছাত্রলীগ নেতারা জানান, পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। অভিযোগ রয়েছে, হারুনের সাথে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে।

বিভি/এনএম

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2