• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

১৮ জুলাই ২০২৪

সংঘর্ষের খবর প্রচার করায় বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাভিশনসহ ৪টি চ্যানেল

এস এম ফয়েজ

প্রকাশিত: ১০:২৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৫:১২, ১৮ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সংঘর্ষের খবর প্রচার করায় বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাভিশনসহ ৪টি চ্যানেল

২০২৪ এর ১৮ জুলাই ছিলো সংঘর্ষময় একটি দিন। এদিন রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, রামপুরা-বাড্ডা, মিরপুর-ধানমন্ডি ও মহাখালিতে স্বৈরাচার সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনীর হামলার শিকার হয় ছাত্র-জনতা। সংঘর্ষের খবর প্রচার করায় সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাভিশনসহ চারটি টেলিভিশন চ্যানেলের। মানুষের কাছে সত্য লুকাতে শাটডাউন করা হয় ইন্টারনেট। এ নিয়েও নির্লজ্জ মিথ্যাচারও করে শেখ হাসিনার সরকার।

ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিন শুরু হওয়ার পরপর ৩০ মিনিটের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাভিশনের সম্প্রচার। একইসাথে বন্ধ করা হয় চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, এনটিভি ও দেশ টিভির সম্প্রচারও। পরবর্তিতে ২২ জুলাই দুপুর ২টার বুলেটিন শুরু হওয়ার পরপর শুধুমাত্র বাংলাভিশনের সম্প্রচার আবারও ৩০ মিনিটের জন্যে বন্ধ করে দেয় স্বৈরাচার সরকার।

১৮ জুলাই ২০২৪। 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ছাত্র-জনতাকে দমাতে টিয়ারশেল, শর্টগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে র‍্যাব,পুলিশ-বিজিবি। রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের জবাবে ইটপাটকেল ছোড়ে আন্দোলনকারীরা। কোনভাবেই পিছু হটানো যায়নি ছাত্র-জনতাকে।

শুধু যাত্রবাড়ী নয়, রামপুরা-বাড্ডা সড়কে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষ হয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের। পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ,সাউন্ড গ্রেনেড উপেক্ষা করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে শিক্ষার্থীরা। 

বারুদের মতো আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজধানী জুড়ে। দুই দফা আগুন দেয়া হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে। আগুন দেয়া হয় পুলিশ ভ্যান ও ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে। ছাত্রদের খোঁজে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।

রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি ও সিটি কলেজ এলাকায়ও রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। আহত হয় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। তারপরও পিছু না হটে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

ছাত্রদের লক্ষ্য করে র‍্যাব-পুলিশ ও বিজির গুলি ছোড়ে, সে দৃশ্য সরাসরি লাইভ সম্প্রাচর করে দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের টার্গেটে পড়ে বাংলাভিশন, এনটিভি, দেশটিভি ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয় এই চারটি চ্যানেল। সংবাদ প্রচারেও বাধা দেয়া হয়।

শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংর্ঘষে মহাখালী, উত্তরা এলাকাও রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ছাত্র-জনতাকে দমাতে বেপরোয়াভাবে রাবার বুলেট, গ্রেনেড ও গুলি করে ছোড়ে র‍্যাব-পুলিশ, বিজিবি। আহত হয় বিপুল সংখ্যাংক ছাত্র-জনতা। তারপরও আন্দোলনকারীরা দাবি আদায়ে অনড় থাকে। বাড়তে থাকে আন্দোলনের তীব্রতা। পরিণতিতে ৫ আগস্ট পতন ঘটে স্বৈরাচারী সরকারের।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2