• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পিটার হাসকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত: সাবেক বিচারপতি মানিক

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৮:৩৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পিটার হাসকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত: সাবেক বিচারপতি মানিক

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম আছে এমন খবর শুনে সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলনে।

এসময় মানিক বলেন, আমাদের কথা হলো- তাদেরকে (আমেরিকা) ইগনোর করা, তাদের যে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলছে তাকে বের করে দেওয়া। আমরা কারো কলোনি না, সার্বভৌম দেশ। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের কোনো অধিকার নেই। সুতরাং দে মাস্ট কিপ কোয়াইট। কারণ দিনের শেষে তারাই লজ্জিত হবে। 

মানবাধিকার প্রসঙ্গ তুলে ধরে মানিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার অনেক বেশি ভালো। তাদের দেশে প্রতিদিন পুলিশ কালো লোকদের গুলি করে মারতেছে।

তিনি বলেন, আমি শুনেছি— আমারও নাম নাকি ভিসানীতিতে আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নামও নাকি আছে। এটা দিয়ে কি হবে। আমাদের তো আমেরিকা যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা তো লন্ডনে থাকি।

তিনি আরও বলেন, আমি জানি না, কিছু লোক বলছে। যারা নির্বাচন বিরোধিতা করছে, তাদের জন্য ভিসানীতি। আমরা তো চাই নির্বাচন হোক। সুতরাং আমার নাম যদি তালিকায় থেকে থাকে, তবে তা কীসের ভিত্তিতে।

সাবেক এই বিচারপতি বলেন, শুনেছি সুপ্রিমকোর্টের সাবেক চার বিচারপতির নাম তালিকায় রয়েছে। এতে কিছু যাই আসে না। এতে আমাদের মাথাব্যথার কিছু নেই। কিছু লোককে যদি আমেরিকায় না যেতে দেয়, এতে নির্বাচনের কোনো ক্ষতি হবে না।

ভিসানীতি আসার জন্য কারা দায়ী উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  এর দায় সম্পূর্ণ দায়ী বিএনপি। আমার নাম যদি সত্যি থেকে থাকে, তা হলে নিশ্চিত বিএনপি আমার নাম পাঠিয়েছে। পয়সার জোরে তারা এটি করিয়েছে। আমি তো আর নির্বাচন পণ্ড করতে চাই না।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রকাশ না করলেও বেশ কয়েকজনের নাম থাকা নিয়ে জোর গুঞ্জন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানান তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও এসবের কোনো ভিত্তি নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি প্রকাশ করেন। এরপরই বাংলাদেশে ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

বিভি/এসএইচ/এজেড

মন্তব্য করুন: