তাপদাহে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে
চলমান তাপদাহে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে। রাজধানীর বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্টের শেষ নেই। তীব্র গরমে কাজ করতে পারছেন না। বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের এখন তাপমাত্রা কমার অপেক্ষা ছাড়া আর কোনো আশ্রয় নেই।
প্রতিনিয়তই বিবর্ণ হচ্ছে ইট পাথরের নগরী। সবুজ উজাড় করে বাছ- বিচার ছাড়াই গড়ে উঠছে একের পর এক ইমারত। নগরায়নের মহাযজ্ঞে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির অপরূপ ছায়া। আর এর প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে রাজধানীবাসী।
ঢাকায় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ছুঁই ছুঁই। অনুভবের ব্যাপকতা আরও বেশি। চলমান তাপদাহ হার মানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের মরুর দেশগুলোর গরমকেও। তবে আরামশীতল কক্ষে উচ্চবিত্তের জীবনধারায় এর তেমন প্রভাব না পড়লেও ভোগান্তির শেষ নেই নিম্নবিত্ত- ছিন্নমূল মানুষের।
পরিবারের সাতজনকে নিয়ে কারওয়ানবাজারের পাশেই একটি খুপরিতে বাস আব্দুল মান্নান হাওলাদারের। কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বাধ্য হয়ে সবাইকে নিয়ে একটি চৌকিতে আশ্রয় নিয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের ছায়ায়।
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে রাস্তার আইল্যান্ডে পড়ে আছেন এক রিকশাচালক। রিকশার চাকা ঘুরিয়ে চলে জীবনের চাকা। কিন্তু তাপদাহের মধ্যে জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগের এই চিত্র পুরো দেশজুড়েই। বিশেষ করে রাজধানীতে ছোট ছোট খুপরি কিংবা বস্তিতে যেসব খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ বিদ্যুতের সুফল ছাড়াই বসবাস করেন তাদের জীবন যেন থেমে আছে। তীব্র গরমে কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দু'মুঠো ভাতের চিন্তায়ও শ্রমজীবী অনেককেই।
অতিরিক্ত গরম, শীত কিংবা বৃষ্টি যাই হোক- প্রকৃতির বৈরি আচরণে এসব মানুষেরই দুর্দশা বাড়ে। তাদের অভিযোগ, কষ্ট লাঘবে পাশে পাওয়া যায় না কাউকেই।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: