খোন্দকার নুরুল আলমের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
মনে আছে খোন্দকার নুরুল আলমকে? আজ তাঁর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। মনে পড়ছে না, সেই বিশিষ্ট সুরকার, শিল্পীকে - যার জন্য আমরা পেয়েছিলাম কালজয়ী কিছু গান।
"চোখ যে মনের, কথা বলে," "আমায় একটা ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস না আর মা", "নদীর মাঝি বলে রে", "ভুল যদি হয় মধুর এমন হোক না ভুল", "এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে", "এ আঁধার কখনো যাবে না মুছে", "আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায়", "ঐ রাত ডাকে ঐ চাঁদ ডাকে", "তোমার এ উপহার আমি চিরদিন", কালজয়ী এই গান গুলো কী কখনো মানুষের হৃদয় থেকে মুছে যেতে পারে? এর মধ্যে নিজেও গেয়েছেন সুর স্রস্টা খোন্দকার নুরুল আলম।
১৯৬০-এ এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানির সুরকার হন তিনি। ১৯৬১ তে রেডিওতে (ঢাকা কেন্দ্রে) সংগীত প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন। ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং একাডেমীর সংগীত বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে সুরকার এবং গীতিকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উজালা, অন্তরঙ্গ, যে আগুনে পুড়ি, ওরা ১১ জন, সংগ্রাম, দেবদাস, শঙ্খনীল কারাগার, শাস্তি এমন সব আলোচিত ও প্রশংসিত ছবিসহ প্রায় ৩০ টি চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। পেয়েছেন 'একুশে পদক', তিনবার জাতীয় পুরস্কার, তিনবার বাচসাস পুরস্কার, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পুরস্কার সহ অনেক অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা।
খন্দকার নুরুল আলম ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত হন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা তাঁর স্মৃতির প্রতি।
মন্তব্য করুন: