বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সমূহে জামায়াতপন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের একচ্ছত্র নিয়োগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাবেক ছাত্রনেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ এক জরুরি বৈঠকে উপস্থিত হন।
সভায় সম্প্রতি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী ও আওয়ামী দুঃশাসন এবং জুলুমের শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত শিক্ষক ড. এ. বি. এম. সাইফুল ইসলালের ছাত্রবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ ইস্যু এবং পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পদে জামায়াতপন্থী শিক্ষকের নিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জামায়াতপ্রীতির প্রতিবাদ করে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর আমলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ড. এ. বি. এম. সাইফুল ইসলাম অন্যতম। দীর্ঘদিন পরে চাকরি ফিরে পেলেও পদোন্নতি আটকে রেখে তার প্রতি আবারও অবিচার করা হচ্ছে। যেখানে আগে থেকেই ড. এ. বি. এম. সাইফুল ইসলাম ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা পদে কর্মরত ছিলেন, সেখানে তাকে অবমূল্যায়ন করে জামায়াতপন্থী শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমীচীন হয়নি।
এ সময় তারা আরও বলেন, আমরা ইদানিং লক্ষ্য করেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াতপন্থীকরণের অপচেষ্টা প্রবল আকার ধারণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে গুপ্তভাবে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি চালানোর অপচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতার বিষয়টিও দৃশ্যমান।
এসময় সামগ্রিক সকল বিষয়ে সাবেক ছাত্র নেতারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে স্মারক লিপি প্রদান করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিবাদলিপিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শতাধিক সাবেক নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান জনি, শফিউল্লাহ মজুমদার কিরণ, শফিকুল ইসলাম শফিক, মহিবুর রহমান বিপ্লব, শরিফ হোসেন খান, রোহেন আক্তার মুন্না, আকন্দ এম এস এ আসাদ, এস এম নিয়াজ মোরশেদ, সালাউদ্দিন রিয়াজ, সাইদুজ্জামান মানিক, শামসুল হক মো: মিরাজ , মেহেদী হাসান (মহসিন), রাসেল মিয়া, মনিরুল হক জনি ও আবদুল্লাহ আল বাক্কী প্রমুখ।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: