• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

অসহযোগ আন্দোলনে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশসহ নিহত ৭৩

বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৪ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ২১:৩১, ৪ আগস্ট ২০২৪

ফন্ট সাইজ
অসহযোগ আন্দোলনে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশসহ নিহত ৭৩

শিক্ষার্থীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ১৪জন পুলিশসহ সিরাজগঞ্জে তিনজন, মুন্সিগঞ্জে তিন'জন, ফেনীতে পাঁচজন, রংপুরে চারজন, মাগুরায় তিনজন, বরিশাল, কুমিল্লা, জয়পুরহাট ও পাবনায় সাত জনসহ মোট ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও গাড়িতে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসযোগ আন্দোলনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অর্ধশতাধিক। আগুন দেয়া হয় ১৫ থেকে ২০টি মোটর সাইকেলে।

সিলেটে  পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ। বন্দরবাজার, সুরমা পয়েন্ট ও কোর্ট পয়েন্টে, কিন ব্রিজ, তালতলা এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। 

সিরাজগঞ্জে ছাত্র-জনতা বাজার স্টেশন পানির ফোয়ারা এলাকায় জড়ো হয়ে এসএস রোডে মিছিল নিয়ে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের কাছে গেলে দলের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। চলে গুলি। আগুন দেয়া হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে।

মাগুরায় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি।

মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে সুপার মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় মুহুর্মুহু গুলিবর্ষন করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন দুজন। আহত হয়েছেন সাংবাদিবসহ শতাধিক। খুলনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে ২০জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশত। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। 

রংপুরে মুখোমুখি অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীরা। সকাল ১০টায় রংপুর টাউন চত্বরে জমায়েত হয় শিক্ষার্থী-জনতা।  পায়ড়া চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্র লীগ তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় সংঘর্ষ বাঁধে। 

ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে রুকসু ভবনসহ বিভিন্নস্থানে ভাংচুর করা হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল ছোড়ে পুলিশ।

চাঁদপুর শহরে আন্দোলনকারীদের সাথে যুবলীগ-ছাত্রলীগ দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয় অন্তত ৩০ জন।  নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। 

লালমনিরহাটে পুলিশ-আন্দোলনকারী ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া হয়। কালীগঞ্জে ইউএনও অফিসে ইট-পাটকেল ছোড়ে আন্দোলনকারীরা।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের উপর গুলি ও হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে ভাংচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: