হাসপাতালে কাতরাচ্ছে ওরা: কারো শরীরে গুলি, কেউবা আজ পঙ্গু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত শিক্ষার্থীরা এখনো কাতরাচ্ছেন পঙ্গু হাসপাতালে। গুলিতে কারো পেট এফোঁড়-ওফোড় হয়েছে, কারও কেটে ফেলা হয়েছে হাত, কারো গুড়িয়ে গেছে পায়ের হাড়। স্বল্প মেয়াদে চিকিৎসা খরচ পেলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত আহতরা। তাদের দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা। সেইসাথে এই সব পঙ্গু বীরদের পুনর্বাসনের দাবিও জানান তারা।
যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পাঁচ আগষ্ট, ছাত্র -জনতাকে টার্গেট করে একের পর এক গুলি করে পুলিশ। সেদিন পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে স্কুল ছাত্র সজিব। বেঁচে যান ভাগ্যক্রমে।শরীর থেকে বুলেট বের করলেও কমেনি যন্ত্রণা, কাতরাচ্ছেন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের বিছানায়।
আহত স্কুল ছাত্র শাহরিয়ারের জীবনেও যেন কষ্টের গল্পগাথা। ৫ আগষ্ট বিজয় মিছিল গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারও ঠিকানা পঙ্গু হাসপাতালে। শিক্ষার্থী নিশাদের শরীরেও পুলিশের গুলি। কষ্টে দিন কাটছে হাসপাতালের বিছানায়।
একই অবস্থা শিক্ষার্থী আফসারেরও। বোনের বাসায় যাওয়ার সময় এয়ারপোর্ট এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে তারও ঠিকানা হাসপাতালে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে কলেজ ছাত্র আবদুল্লাহকে গাড়ী চাপা দেয় পুলিশ। তাতে ভেঙ্গে যায় তার ডান পা। তারও দিন কাটছে হাসপাতালে।
রাজধানীর উত্তরায় মেয়ের সঙ্গে বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন হারুন রশিদ। আহত শিক্ষার্থীদের অনেককে দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যা ভুগতে হবে। জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
যে রক্তে বিজয় এনে দিয়েছেন এইসব আহত মানুষ তা যেন তাদের জীবনে স্থায়ী যন্ত্রণার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি আহতদের পরিবারগুলোর।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: