জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গতিপথ বদলে দেয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গতিপথ বদলে দেয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। তাদের তীব্র প্রতিরোধে পাল্টে যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোড়। অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে রচিত হয় নতুন ইতিহাস। কিন্তু সাহসী-লড়াকুদের কন্ঠে আজ হতাশা আর আক্ষেপ। তারপরও দেশের স্বার্থে আবারো প্রয়োজনে রাজপথে নামতে প্রস্তুত তারা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে যার শুরু, পরিণতি পায় ‘জুলাই অভ্যূত্থানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। আন্দোলন তীব্রতর হলে তা দমনে কঠোর হয় শেখ হাসিনা সরকার। ছাত্রদের ওপর চড়াও হয় র্যাব,পুলিশ, বিজিবি।
আন্দোলন রুখতে ১৭ জুলাই বন্ধ করে দেওয়া হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল। এতে আন্দোলন স্তিমিত হওয়ার বদলে, ছড়িয়ে পড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। বারুদের মতো জ্বলে ওঠেন শির্ক্ষাথীরা। নেমে আসেন রাস্তায়। দিনরাত সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন গিতশীল রাখেন।
মূল সড়ক থেকে অলি-গলি, ছিল পদে পদে বাধা, সাথে গ্রেফতারের ভয়, ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার আতঙ্ক। কিছুতেই পিছু হটেননি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সড়কে গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়ান তারা। প্রতিবাদে থাকেন অনড়। কারফিউ উপেক্ষা করে চালিয়ে যান আন্দোলন।
আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ততা ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সফলতা আসতো না, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনও হতো না- এমনটাই দাবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
গণঅভ্যুত্থানে কত শত তরতাজা প্রাণ ঝরেছে, হয়েছে অঙ্গহানি। কিন্তু এক বছরে অর্জন কী? তা নিয়ে ক্ষোভ আর হতাশা এই শিক্ষার্থীদের কন্ঠে।
এক বছরে আশা-প্রত্যাশা পূরণ না হলেও শোককে শক্তিতে পরিণত করে হাতে হাত মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে সহযোগী হতে চান তারা।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: