• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়া হয়েছে: পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২৯ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়া হয়েছে: পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান

ছবি: প্রকৌশলী রেজানুর রহমান

দেশীয় গ্যাসের অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ৫০ কূপ খনন প্রকল্পের পাশাপাশি ১০০ কূপ খনন প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজানুর রহমান।  

আজ (মঙ্গলবার) পেট্রোবাংলায় আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, গতকাল (২৮ জুলাই) আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছি ল্যান্ডবেজড এলএনজি টার্মিনাল ও এলপিজি বোটলিং প্লাণ্টের জায়গার বিষয়ে। আরেকটি বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনারা এর অগ্রগতি দেখতে পাবেন। তবে বিষয়টি অনেক সময় সাপেক্ষ।

তিনি আরও বলেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম কম। আর কিছুদিন পরেই ইউরোপে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেলে দাম বেড়ে যাবে। আমাদের ল্যান্ডবেজড টার্মিনাল থাকলে এখন কমদামে কিনে মজুদ করতে পারতাম। তাহলে শীতের সময়ে বেশিদামে এলএনজি আমদানি করতে হতো না।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা আর দশ মেগাওয়াটের বেশি কোনো প্রকল্পে গ্যাস সংযোগ দেবো না। এখন যেমন ক্যাপটিভ রয়েছে সেগুলো ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে চাই।


শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগে হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, শিল্পে গ্যাস সংযোগ তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এক হচ্ছে গ্যাস সংযোগ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে। সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ প্রদান, এ জন্য বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া তালিকা নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে। কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করবে। কয়েকটি কোম্পানির পরিদর্শন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখানে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। আর যেগুলো ভবিষ্যতে আসতে চায় তাদের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিবেচনা করে তারপর চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপরেশন অ্যান্ড মাইন্স) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০০ কূপ প্রকল্পের আওতায় ৬৯টি অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কূপ খনন করা হবে। এর মাধ্যমে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন আরও ৯৮৫ মিলিয়ন বাড়বে। আর ৩১ ওয়ার্কওভার থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন উৎপাদন বাড়বে। ১০০ কূপ থেকে ১৯টি কূপ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হলে ওই ১৯টি কূপ থেকে ২৭৭ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়ানোর জন্য দুটি নতুন রিগ কেনা হচ্ছে। একটি রিগ ক্রয়ের প্রস্তাব খুব দ্রুতই একনেকে উঠবে। আরেকটির প্রাক সমীক্ষা চলমান রয়েছে। এগুলো হলে কূপ খনন কার্যক্রম আরও দ্রুততর করতে পারবো। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পুরো ভোলা জেলার সিসমিক সার্ভে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি সেখানেও আমাদের মজুদ বৃদ্ধি পাবে।


গ্যাসের সিস্টেম লস এবং অবৈধ সংযোগ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিস্টেম লস কমানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করার জন্য ৪ জন ডেটিকেটেড নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। তারা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে। যার সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি। পাশাপাশি গ্রাহক ও সংবাদকর্মীদের সহায়তা প্রয়োজন। আপনাদের দিক থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাড়া দিতে চাই।

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: