• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

অফিস আদালতে ছবি ব্যবহারের নিয়ম কী?

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ১৭ আগস্ট ২০২৫

ফন্ট সাইজ
অফিস আদালতে ছবি ব্যবহারের নিয়ম কী?

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এটি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির ছবি টানানো নিয়ে আইনি বিধান কী আছে, সেটি নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। 

বাংলাদেশের সংবিধানের চার অনুচ্ছেদে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহারের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এর বাইরে সরকার প্রধানের ছবি ব্যবহার করা নিয়ে কোনো আইন, বিধি বা সাংবিধানিক নির্দেশনা শেখ হাসিনার শাসনামলে হয়নি।

তবে, ২০০২ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীদের কার্যালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি কিংবা ছবি টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই নির্দেশ মোতাবেক সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার হয়ে আসছিল।

পাঁচই অগাস্টের পট পরিবর্তনের পর অবশ্য সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেননি।

কিন্তু কোনো ধরনের নির্দেশনা না থাকার পরও রাষ্ট্রপতির ছবি বিভিন্ন দূতাবাস কার্যালয়ে কেন ব্যবহার করা হয়, তার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে আইনজীবীদের কাছ থেকে।

সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেছেন, 'প্রত্যেকটা দেশে রাষ্ট্রদূত বা হাই কমিশনার যারা থাকেন, সেখানে তাদের দেশের রাষ্ট্র প্রধানের ছবি থাকে, এটা একটা কাস্টম। এটা দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। সেই হিসেবেই হয়তো রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল'।

'এখন এটাকে আইনি বা বেআইনি দুইটার কোনোটাই বলা যায় না। এখন সরকার যদি নির্দেশনা দেয় তাহলে নামিয়ে ফেলতে হবে'-যোগ করেন তিনি।

সাবেক রাষ্ট্রদূত, সচিব ও আইনজীবীরা বলছেন, আইনি কোনো বাধ্যকতা না থাকার পরও যদি দূতাবাস ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি থাকলে সেটি সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আনুষ্ঠানিক ও লিখিত সিদ্ধান্তে সরিয়ে ফেলা যেতো।

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, 'এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত যদি নিতেই হয় মৌখিকভাবে টেলিফোনে সিদ্ধান্ত না জানিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্দেশনা জারি করা দরকার ছিল। কিন্তু সরকার সেটি করেনি'।

যে কারণে অনেকটা গোপনে ও মৌখিকভাবে এই নির্দেশনার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই রাষ্ট্রপতির পদ নিয়েও নানা গুঞ্জন দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2